শীর্ষবিন্দু নিউজ ডেস্ক: ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বের হয়ে আসার (ব্রেক্সিট) আনুষ্ঠানিকতা প্রশ্নে চলমান আলোচনা পরবর্তী ধাপে এগিয়ে নিতে সম্মত হয়েছে দুই পক্ষ।
প্রথম ধাপের খসড়া নিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র জোটভুক্ত দল আয়ারল্যান্ডের ডেমোক্রেটিক ইউনিয়নিস্ট পার্টির (ডিইউপি) আপত্তির মুখে পরবর্তী আলোচনা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, সেই অচলাবস্থা কাটিয়ে শেষ মুহূর্তে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছাতে পেরেছেন থেরেসা।
২০১৯ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বের হয়ে যাবে যুক্তরাজ্য। বিচ্ছেদের পর দুই পক্ষের সম্পর্ক এবং লেনদেন কেমন হবে তা নির্ধারণ নিয়ে চলছে ব্রেক্সিট আলোচনা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, এ নিয়ে সোমবার একটি সমঝোতা চুক্তি হওয়ার কথা থাকলেও ডেমোক্রেটিক ইউনিয়নিস্ট পার্টির (ডিইউপি) জোরালো আপত্তির মুখে তা থমকে যায়।
দলটির দাবি, এ ব্যাপারে আরও অনেক কাজ বাকি আছে এবং চূড়ান্ত চুক্তিতে সমর্থন জানানোটা খসড়ার বিষয়বস্তুর ওপর নির্ভর করছে। ব্রেক্সিটের পর নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড ও রিপাবলিক অব আয়ারল্যান্ডের মধ্যে সীমান্ত ব্যবস্থা কী হবে এবং তা কিভাবে নিয়ন্ত্রিত হবে তা নিয়ে মূল জটিলতা দেখা দিয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে এসব ব্যাপারে সমঝোতায় পৌঁছান থেরেসা মে।
সমঝোতায় বলা হয়, নর্দার্ন আয়ারর্যান্ড ও রিপাবলিকের মধ্যে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত সীমান্ত থাকবে না। এ সীমান্ত দিয়ে রোকজন খুব সহজে পারাপার করতে পারবে।
শুক্রবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট জ্যাঁ ক্লদ জাঙ্কার বলেন, ‘কয়েক মাসের আলোচনার পর আমরা সমঝোতায় পৌঁছাতে পেরেছি। ব্রেক্সিট পরবর্তী বাণিজ্য নিয়ে যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের আলোচনা এখন সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে।’
তিনি আরও বলেন, আজকের ফলাফল অবশ্যই সমঝোতা। চুক্তি অনুযায়ী, আগের মতো যুক্তরাজ্যে বসবাসরত ইইউ নাগরিকদের এবং ইইউ ভুক্ত দেশে বসবাসরত যুক্তরাজ্যের নাগরিকদের অধিকারের সুরক্ষা দেওয়া হবে। এদিকে শুক্রবার ডিইউপি’র নেতা আরলেন ফস্টার বলেন,খসড়া প্রস্তাবে যে পরিবর্তন আনা হয়েছে তাতে তিনি সন্তুষ্ট।