শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:০২

টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়ার মেয়েরাই সেরা

টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়ার মেয়েরাই সেরা

/ ১৯৪
প্রকাশ কাল: রবিবার, ৭ অক্টোবর, ২০১২

কয়েক বছর আগেও সব ধরনের ক্রিকেটে অপ্রতিদ্বন্দ্বী ছিল তারা। কি ক্রিকেট কি টেস্ট আর কি টি-টোয়েন্টি ! অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলতে নামা সব কটি দল জিততে পারলে ধন্য মনে করতো নিজেদের। র‌্যাংকিংও সেই কথায় বলতো । ওয়ানডে টি-টোয়েন্টির র‌্যাংকিংয়ে ছিল তারা অপ্রতিদ্বন্দ্বী।
অস্ট্রেলিয়ার সোনালী যুগের আপাতত অবসান হয়েছে। ক্যারিবীয়ান দ্বীপপুঞ্জে অস্ট্রেলিয়া পুরুষ দল ২০০৯ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে পিটারসেনের কাছে হেরে গেলেও মেয়েরা শিরোপা জিতে দেশবাসীকে আনন্দ দিয়েছিল। এবার তো অস্ট্রেলিয়ার ছেলেরা ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে বিপর্যস্ত হয়ে সেমিফাইনাল থেকেই বিদায় নিয়েছে। তবে অস্ট্রেলিয়ার মেয়েরা ঠিকই নিজেদের শিরোপা ধরে রেখেছে। ৪ রানে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইংল্যান্ডকে উত্তেজনাকর ম্যাচে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা জিতেছে অস্ট্রেরিয়ার মেয়েরা। ওপেনার ম্যাগ ল্যানিং এবং মিডল অর্ডারের জেস ক্যামেরনের সহযোগিতায় অস্ট্রেলিয়া ১৪২ রান তুলে। মেয়েদের টি-টোয়েন্টিতে ১৪২ বেশ লড়াকু স্কোর। ইংলিশ আনা স্রাবশোল এবং ক্যাথরিন ব্রান্ট ব্যাপক পিটুনি খান অস্ট্রেলিয়ার মিডল অর্ডারের ব্যাটসম্যানদের কাছে। শেষ পর্যন্ত চার উইকেট হারিয়ে ১৪২ রান করে অস্ট্রেলিয়া। জেস ক্যামেরন আহত হয়েও ৩৪ বলে খেলেন ৪৫ রানের ঝড়ো ইনিংস। ইংল্যান্ডের কোলভিন ৪ ওভারে ২১ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ধীর স্থির শুরু করে ইংল্যান্ডের মেয়েরা। ২০ রানে প্রথম উইকেটের পতন ঘটলেও বশে ধীরস্থির ভাবে জয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল তারা। অধিনায়ক শার্লট এডওয়ার্ডসের ২৮ ছাড়া আর কেউ ২০-এর অংক না ছাড়াতে পারলেও সবাই মোটামুটি রান করে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন জয়ের দিকে। শেষের ৩ ওভারে দরকার ছিল ৩৫ রান। ১৮তম ওভারে ১৫ রান নিয়ে খেলাকে সহজ করে দেন হান্টার এবং গান জুটি। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১৬ রান। নো বল আর চাপের কারণে চার বলে উঠে যায় ৯ রান। ছক্কা মারলে এমন অবস্থায় আউট হয়ে যান কোলভিন। শেষ বলে ছক্কা মারলেই জয় এমন অবস্থায় শেষ বলে মাত্র এক রান আসে। শেষ ওভারে বল কার অসবোর্ন বলেন, ‘এটা ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে স্নায়ুখরা মুহূর্ত। অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক হিলি বলেন, আমরা আমাদের সেমিফাইনাল থেকে অনুপ্রেরণা নিয়েছিলাম। আমরা সেমিফাইনালে অনেক কম রানে প্রতিপক্ষকে আটকে দিতে পেরেছিলাম। তাই আমরা শুরু থেকেই আগে ব্যাট করার জন্য প্রস্তুত ছিলাম। সত্যি বলতে কী সেমিফাইনালের জয় থেকে এ জয়টাই বেশি মধুর।’ টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হয়ে ইংল্যান্ড অধিনায়ক শার্লট এডওয়ার্ডস বলেন, তিনি এই ট্রফি নিয়ে মোটেও খুশি নন। বরং এই ট্রফির জন্য নিজের সব অর্জন দিয়ে দিতে রাজি। ইন্টারনেট




Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *



পুরানো সংবাদ সংগ্রহ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০  
All rights reserved © shirshobindu.com 2024