আবহাওয়া ডেস্ক: কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ একেএম নাজমুল হক বলেন, ঘূর্ণিঝড় মহাসেন নোয়াখালী চট্টগ্রাম উপকূলীয় এলাকা পেরিয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। জেলায় ঘূর্ণিঝড় মহাসেন’র যে প্রভাব পড়ার কথা থাকলেও খানিকটা দুর্বল হয়ে যাওয়ায় সেটা পড়েনি। তাই এ এলাকায় বড় আকারের আঘাত হানার আশঙ্কা কেটে গেছে। তবে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে পরবর্তীতে বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে তিনি জানান।
এছাড়া আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে পর্যাপ্ত খাবারের ব্যবস্থা নেই। তাই তারা আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে বাড়ি চলে যাচ্ছেন। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে প্রশাসনের নজরদারী নেই। এ সুযোগে লোকজন রাতেই বাড়ি চলে যান। বুধবার রাতে আশ্রয়কেন্দ্রে জেলার ৪১২টি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় দুই লাখ লোক আশ্রয় নেয়া লোকজনদের মধ্যে কিছু লোক বাড়িতে চলে গেছে। তারা বলেছেন, তাদের বাড়িতে নজরদারি না থাকায় চুরির ঘটনা ঘটছে।
এদিকে, জেলা প্রশাসক রুহুল আমিন বলেন, ঘূর্ণিঝড় দুর্বল হয়ে ত্রিপুরার দিকে চলে যাওয়ার কোন তথ্য আমরা এখনও পাইনি। আবহাওয়া অধিদপ্তরের জারি করা ৭ নম্বর সংকেত পরবর্তী ঘোষণা না পর্যন্ত বহাল থাকবে। তবে তিনি জেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আরো জানান, জেলা সদরের আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে বৃহস্পতিবার সকালেই শুকনা খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া উপজেলাগুলোতে দুপুরের খিচুড়ির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় মহাসেনে’র বর্ধিতাংশের প্রভাবে কক্সবাজার শহরসহ আশপাশের এলাকায় ধমকা হাওয়া বইতে শুরু করেছে। একই সঙ্গে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাতও চলছে। সকালের দিকে ঘূর্ণিঝড় বর্ধিতাংশের প্রভাবে জেলার বেশ কয়েকটি উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় মহাসেনের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজারের মহেশখালীর ধলঘাটা ও টেকনাফের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এসব এলাকা জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে।
Leave a Reply