l
রবিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১, ১২:৩৮ অপরাহ্ন
শীর্ষবিন্দু নিউজ ডেস্ক: কয়েকদিনের প্রবল বর্ষণে ভারতের উত্তরাঞ্চলের পাহাড়ি এলাকায় বন্যা ও ভূমিধসে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩১ জনে। বর্ষণের তীব্রতা এখনো কমেনি। গোটা উত্তরাখ- রাজ্য এখন বন্যার কবলে। হিমাচল ও উত্তরাখ-ের দুর্গত এলাকায় উদ্ধার তৎপরতা চলছে। ভারী বর্ষণকবলিত উত্তরাখ- রাজ্যের হিমালয় সংলগ্ন এলাকায় ৭১ হাজারের বেশি তীর্থযাত্রী আটকা এবং হিমাচল প্রদেশেও প্রায় ১ হাজার ৭০০ জন দুর্যোগের কবলে পড়েছেন। আকস্মিক বন্যা, বৃষ্টি ও ভূমিধসে সেখানে এ পর্যন্ত ১০২ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছে।
এদিকে গঙ্গা ও যমুনা নদীতে পানির উচ্চতা অপ্রত্যাশিতভাবে বেড়ে যাওয়ার কারণে রাজ্যজুড়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তাজমহলের জন্য বিখ্যাত আগ্রায়ও বন্যা সতর্কতা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। সেখানে যমুনা নদীর তীরবর্তী লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে বলা হয়েছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানায়, চামোলিতে ২৭ হাজার ৪০, রুদ্রপ্রয়াগে ২৫ হাজার ও উত্তরাক্ষী জেলায় ৯ হাজার ৮৫০ জন আটকা পড়েছেন। সরকারি কর্মকর্তারা জানান, হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিংহ নিজেই রাজ্যের আদিবাসী-অধ্যুষিত কিনুয়ার জেলায় ভূমিধসের কারণে প্রায় ৬০ ঘণ্টা আটকা পড়েছিলেন। হেলিকপ্টারযোগে মঙ্গলবার সকালে তাকে সেখান থেকে সরিয়ে নেয়া হয়। সেখানে প্রায় ২ হাজার লোক আটকা পড়ে।
এ ছাড়া বহু লোক আহত ও কয়েকশ বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। হতাহতের বাকি ঘটনা ঘটেছে হিমাচল প্রদেশে। হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত কেদারনাথ, বদ্রীনাথ, গঙ্গোত্রী ও যমুনোত্রী তীর্থস্থানের উদ্দেশে যাতায়াতের সময় দুর্যোগের কবলে পড়েছেন মোট ৭১ হাজার ৪৪০ জন। তারা রুদ্রপ্রয়াগ, চামোলি ও উত্তরাক্ষী জেলায় আটকা পড়েছেন। বিরূপ আবহাওয়া ও সড়ক যোগাযোগ ব্যাহত হওয়ায় সেখানকার বিখ্যাত চরধাম যাত্রা স্থগিত করা হয়েছে।