l
রবিবার, ০৭ মার্চ ২০২১, ০৫:৫৪ অপরাহ্ন
শীর্ষবিন্দু নিউজ: ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও মডেল মিতা নূরের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে রাজধানীর গুলশান-১ এর ১০৪ রোডের ১৬নং বাড়ি থেকে গুলশান থানা পুলিশ ঝুলন্ত লাশটি উদ্ধার করে। স্বামী শাহানূর রহমান রানার অত্যাচার ও নির্যাতনেই অভিনেত্রী মিতা নূরের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছেন মিতা নূরের বাবা ফজলুর রহমান।
মিতা নূরের বাবা অভিযোগ করে বলেন, স্বামী শাহনূরের সঙ্গে মিতার প্রায়ই ঝগড়া হতো। এর আগে তাকে দুইবার হত্যার চেষ্টা করা হয়। স্বামীর অত্যাচার, নির্যাতনেই এ ঘটনা ঘটেছে। mita-noor-3 তবে
মিতা নূর আত্মহত্যা করেছেন নাকি হত্যা করা হয়েছে তা এখনো স্পষ্ট নয়। উল্লেখ্য, সোমবার সকালে রাজধানীর গুলশানের নিজ বাসা থেকে অভিনেত্রী মিতা নূরের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। গুলশান-২ এর বাসা থেকে তার লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এদিকে, গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাব্বির আহমেদ বাংলানিউজকে জানান, সোমবার সকাল সাতটায় খবর পেয়ে গুলশান-২ এ অবস্থিত ১০৪ নম্বর রোডের ১৬ নম্বর হোল্ডিংয়ের ‘প্রাসাদ লেকভ্যালি’ অ্যাপার্টমেন্টের ছয়তলার বাসা থেকে মিতা নূরের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। এ সময় তার গলায় ওড়না পেঁচানো ছিল। ঘটনাস্থলে গুলশান জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) লুৎফুল কবিরসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত হয়েছেন। মিতা নূরের মৃত্যুর খবরে ছুটে আসেন অভিনেত্রী তারানা হালিম, এমপিসহ নাট্যাঙ্গনের বিশিষ্টজনেরা। tarana-halim মিতা নূর ও শাহানূর রহমান রানার দুই ছেলে- সাদমান নূর প্রিয় ও শেহজাদ নূর পৃথী। এদিকে, ঘটনার বিষয়ে মিতা নূর পরিবারের গাড়ির চালক সবুজ জানান, মিতা নূর রোববার বাড়ি থেকে কোথাও বের হননি। এর আগে শনিবার দুপুরে মায়ের সঙ্গে দেখা করতে বাসাবো এলাকায় গিয়েছিলেন। ওইদিন তিনি মোবাইলে ফোনে স্যারের (স্বামী শাহনূর) সঙ্গে উচ্চৈ:স্বরে রাগারাগি করেন। পরে অন্যদের সঙ্গেও তিনি খারাপ ব্যবহার করেন। এরপর বিকেলে পুলিশের একটি ভ্যান নিকেতন অফিসে ম্যাডামের কাছে আসে। তবে কী কারণে পুলিশ অফিসে এসেছিল, সেটা তার জানা নেই বলে জানান গাড়িচালক সবুজ।
নিজ বাসায় ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় ছিল। এ সময় পরিবারের সদস্যরা বাসায় ছিলেন। গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। সূত্র জানায়, প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা হলেও বিষয়টি রহস্যজনক বলে মনে করছেন পুলিশ ও গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। আত্মহত্যা হয়ে থাকলে কি কারণে হয়েছে সেটা এবং অন্য কোনো কারণ থাকলে সেটাও মাথায় রেখে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও গোয়েন্দা কর্মকর্তারা কাজ করছেন। গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জাস্ট নিউজকে বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে রয়েছি। তদন্ত করে দেখছি। মৃতদেহ এখন সেখানে রয়েছে বলে জানান তিনি। ১৯৮৯ সালের ৬ জানুয়ারি বাংলাদেশ টেলিভিশনে সাপ্তাহিক নাটক ‘সাগর সেচা সাধ’ নাটকে অভিনয়ের মধ্যদিয়ে অভিনেত্রী হিসেবে মিতা নূরের অভিষেক। নাটকের তার নায়ক ছিলেন প্রয়াত ফজলুল পাশা। নাটকটির প্রযোজক ছিলেন শেখ রিয়াজউদ্দিন বাদশা। ১৯৯২ সালে আফজাল হোসেনের নির্দেশনায় অলিম্পিক ব্যাটারির বিজ্ঞাপনে মডেল হয়ে ব্যাপক তারকাখ্যাতি পান। এই বিজ্ঞাপনের ‘আলো আলো বেশি আলো’ জিঙ্গেলটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে মিডিয়ায় কাজ করেন তিনি। এ সময়ে তিনি নাটকে অভিনয় ছাড়াও নিজে পরিচালনা ও প্রযোজনা করেছেন। – See more at: http://www.dainiksylhet.com/details/newsdetails/4979#.UdF17x5wbIU