l
রবিবার, ০৭ মার্চ ২০২১, ০৬:০৬ অপরাহ্ন
স্বদেশ জুড়ে নিউজ: রাজধানীর রামপুরায় পুলিশের একজন সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হতে পারে বলে ফজলুল করিমের মেয়ে ফারজানা করিম বাঁধনের ধারণা।
ফজলুল করিমের মেয়ে ফারজানা করিম সাংবাদিকদের জানান, তাদের গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জের সিরাজদী খানের রামকৃষ্ণদি গ্রামে। সেখানে চাচার পরিবারের সঙ্গে একটি বাড়ি নিয়ে তাদের বিরোধ চলছিল। তার বাবাকে কেন হত্যা করা হয়েছে জানতে চাইলে ফারজানা বলেন, ওদের ধরুন। তাহলেই কারণ জানা যাবে। এদিকে ফজলুল করিম নিহত হওয়ার খবরে মহানগর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা হাসপাতালে ছুটে যান।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পশ্চিম রামপুরার ওয়াপদা রোডে নিজের পাঁচতলা বাড়ির তৃতীয় তলায় পরিবার নিয়ে থাকতেন ফজলুল করিম। সকাল ১০টার দিকে কয়েকজন সন্ত্রাসী বাসায় ঢুকে তাকে গুলি করে পালিয়ে যায়। নিহত ফজলুল করিম (৬০) সর্বশেষ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) ছিলেন। ঊনিশশ আশির দশকে কয়েকটি আলোচিত মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন ফজলুল করিম। ছয় বছর আগে তিনি অবসরে যান বলে মহানগর পুলিশের মতিঝিল জোনের অতিরিক্ত উপ কমিশনার মেহেদী হাসান জানান।
নিহতের শ্যালক তৌহিদ কাশেম খান প্রিন্স হাসপাতালে সাংবাদিকদের জানান, ফজলুল করিমের স্ত্রী স্বপ্না করিম সকালে গুলশানে মেয়ের বাসায় যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বেরিয়েই তৃতীয় তলার সিঁড়িতে অস্ত্র হাতে এক যুবককে দেখতে পান। আতঙ্কিত স্বপ্না ওই যুবকের কাছে জানতে চান, সে কাকে খুঁজছে। তখন সে অস্ত্রের মুখে স্বপ্নাকে আবার বাসায় ঢুকতে বাধ্য করে এবং তার ডাকে নিচ থেকে আরো দুই যুবক তৃতীয় তলায় উঠে আসে। তারা স্বপ্নাকে একটি ঘরে আটকে রেখে ফজলুল করিমকে গুলি করে পালিয়ে যায় বলে প্রিন্স জানান। ওই সময় বাসায় অল্প বয়সী এক কাজের ছেলে ছিল। সে তিনটি গুলির আওয়াজ পাওয়ার কথা বলেছে। পরে গাড়ির চালক ও ভাড়াটিয়ারা মিলে ফজলুল করিমকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন