l
রবিবার, ০৭ মার্চ ২০২১, ০৬:০৩ পূর্বাহ্ন
স্বদেশ জুড়ে: নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে এবার যৌথ সরকার-এর প্রস্তাব দিয়েছেন সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হক। বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ষষ্ঠ কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে উত্তরাঞ্চল ছাত্রফোরাম আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ প্রস্তাব করেন।
সংগঠনের সভাপতি ওবায়দুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রো-ভিসি প্রফেসর আফম ইউসুফ হায়দার, ড. একেএম শাহাদাত হোসেন মণ্ডল, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব গাজী মাজহারুল আনোয়ার, প্রফেসর ড. তাজমেরী এসএ ইসলাম, সৈয়দ আবদাল আহমেদ, এসএম শফিউজ্জামান খোকন ও মোস্তাফিজুর রহমান বক্তব্য দেন।
ব্যারিস্টার রফিক বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার হয়তো হবে না, কিন্তু এছাড়া নির্বাচন হবে না বললেও ভেতরে ভেতরে নির্বাচনের প্রস্তুতি রাখতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক হোক বা না হোক, আগামী নির্বাচনে আপনারা বিপুল ভোটে জিতবেন। কিন্তু সেটা আওয়ামী লীগকে গালাগাল করে হবে না। মানুষ এখন জানে কোথায় ভোট দিতে হবে। তিনি বলেছেন, বিরোধী দল তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাইছে, সরকার রাজি হচ্ছে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার না হোক, নির্বাচনকালে একটি যৌথ সরকার হতে পারে। সরকার ও বিরোধী দল উভয় পক্ষের ব্যক্তিদের সমন্বয়ে এই সরকার হবে। এতে দুই পক্ষের প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, রাজনীতিতে ঢোকার আগে শিক্ষা লাগবে। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড-মারামারি-কাটাকাটি করা যাবে না। মানসিক পরিবর্তন আনতে হবে। বিদেশে তারেক পড়াশোনা করছেন। তার স্ত্রীও। তারা সবাই একসঙ্গে দেশে ফিরবেন। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা মঙ্গলবার বলেছেন যে নির্বাচনকালে বড় কোন সিদ্ধান্ত নেয়া হবে না। আমি চাই, একটি অর্থপূর্ণ নির্বাচন, যে যাকে ভোট দিতে চাইবে, তাকেই যেন দিতে পারে। মিডিয়ার আধিক্যে নির্বাচনে কারচুপির সুযোগ কমে গেছে।