শীর্ষবিন্দু নিউজ ডেস্ক: ব্রিটিশ গোয়েন্দাদের দাবী অনুযায়ী, খুবই ঘনিষ্ঠভাবে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক উগ্রপন্থী সংগঠন ইসলামিক এস্টেট (আইএসআইএস) এর সাথে জড়িত টপলেস ব্রিটিশ গ্ল্যামার মডেল কিম্বার্লি মাইনার্স।
মডেল কিম্বার্লি অবশ্য দাবি করেছেন, ভুয়ো অ্যাকাউন্ট তৈরি করে তাকে ফাঁসানো হয়েছে। তবে ব্রিটিশ গোয়েন্দারা সহজে সে কথা বিশ্বাস করতে রাজি নন। মডেলকে দফায় দফায় জেরা করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
গোয়েন্দাদের দাবি, পুলিশের জালে ধরা পড়ে ইতোমধ্যে গোপনে নিজের ধর্মও পাল্টে ফেলেছেন বছর সাতাশের স্বর্ণকেশী সুন্দরী। ব্রিটেনের গ্ল্যামার জগতেও এবার সন্ত্রাসের ছোঁয়া।
এর আগে তাকে সন্ত্রাসবাদীদের সংস্রব এড়ানোর জন্য সতর্ক করেছিলেন গোয়েন্দারা। গ্রেপ্তারের পরে ব্র্যাডফোর্ড ওয়েস্ট ইয়র্কশায়ারে যুবতীর ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালানো হয়েছে।
উগ্রবাদী সংগঠন আইসিসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগসূত্রের প্রমাণ পাওয়া পরে গ্রেপ্তার হলেন টপলেস মডেল কিম্বার্লি মাইনার্স। বেশ কিছু দিন সোশ্যাল মিডিয়ায় আইসিস প্রকাশিত ভিডিয়ো ও টেক্সট পোস্ট লাইক করছিলেন তিনি। এর পরই তার ওপর নজর রাখতে শুরু করে সন্ত্রাসদমন শাখার পুলিশ এবং এম১৫ সিক্রেট সার্ভিস।
গত সেপ্টেম্বর মাসে সানডে টাইমসের প্রতিবেদনে জানা গিয়েছিল, আইশা লরেন আল-ব্রিটানিয়া ছদ্মনামে সোশ্যাল মিডিয়ায় উস্কানিমূলক ভিডিয়ো পোস্ট ও শেয়ার করছেন মাইনার্স। প্রোফাইল ছবিতে অবশ্য নিজের মুখ ঢেকে রেখেছিলেন তিনি।
তবে হিজাবের আড়াল থেকে দেখা যাচ্ছিল তার উজ্জ্বল নীল চোখের তারা। তার পোস্ট করা ভিডিওতে রাইফেল ও অন্যান্য অস্ত্র হাতে মুসলিম মহিলাদের কুচকাওয়াজ করতে দেখা গেছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় যেমন ভেকই ধরুন না কেন, বাস্তব জীবনে খোলামেলা পোশাকেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন কিম্বার্লি। হামেশাই ট্যাবলেয়েডের পাতায় স্বল্পবসনা সুন্দরীর ছবি দেখে মোহিত হন তার অসংখ্য ভক্ত।
ব্রিটিশ পত্রিকা সানডে টাইমস জানিয়েছে, গত শুক্রবার ২০০০ সালের টেররিস্ট অ্যাক্ট অনুসারে আনা অভিযোগের ভিত্তিতে কিম্বার্লিকে গ্রেপ্তার করা হয়।