শীর্ষবিন্দু নিউজ: টাওয়ার হ্যামলেটসের অব্যাহত হাউজিং সমস্যা মোকাবেলায় ভবিষ্যত পরিকল্পনা উপস্থাপনকালে বারার নির্বাহী মেয়র জন বিগস এক তথ্য উপস্থাপন করেন।
সোমবার স্টেপনী গ্রীণের ওশেন এস্টেটের হারফোর্ড কমিউনিটি সেন্টারে এক বিশেষ হাউজিং ইভেন্টে মেয়র বিগস তথ্য তুলে ধরে বলেন, টাওয়ার হ্যামলেটসে ২০১৫/১৬ সালে সাধারন বাসিন্দাদের সামর্থ্যরে মধ্যে রয়েছে এমন ১ হাজার ৭৩টি বাড়ী বানানো হয়েছে।
যা আগের অর্থ বছরে তা ছিলো ৬শ ৩৫টি। ২০১৫/১৬ সালে নির্মিত বাড়ীগুলোর মধ্যে ৩শ ২৮টি হচ্ছে ফ্যামিলি সাইজের সোশাল রেন্টেড হোমম্ব। এটি গত ৬ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ এবং আগের বছরের তুলনায় ৭৭% বেশী।
অনুষ্টানে আরো বক্তব্য রাখেন ডেপুটি মেয়র এবং কেবিনেট মেম্বার ফর হাউজিং ম্যানেজমেন্ট এন্ড পারফরমেন্স কাউন্সিলার সিরাজুল ইসলাম এবং কেবিনেট মেম্বার ফর স্ট্র্যাটিজিক ডেভেলাপমেন্ট কাউন্সিলার র্যাচেল ব্ল্যাক। এসময় বিপুল সংখ্যক হাউজ বিল্ডার্স, বিভিন্ন হাউজিং এসোসিয়েশনের কর্মকর্তা, স্থানীয় রেসিডেন্টস গ্রুপ, সাংবাদিক এবং পরিকল্পনাবিদ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্টানে নির্বাহী মেয়র জানান, তিনি তার বর্তমান মেয়াদকালে ১ হাজার কাউন্সিলের বাড়ী বানানোর জন্য কাজ করছেন। এই লক্ষ্যে কাজ অনেকদূর এগিয়েছেও বলে তিনি উল্লেখ করেন। এছাড়া অন্যান্য পরিকল্পনায় সাধারন বাসিন্দাদের প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
নানাবিধ সমস্যা সত্ত্বেও হাউজিং এর বিভিন্ন ক্ষেত্রে অন্যান্য অগ্রগতিকেও মেয়র তার বক্তব্যে তুলে ধরেন। এসবের মধ্যে রয়েছে, ১ হাজার ১শ ২৩ পরিবারকে রিহাউজিং এবং ৬ সপ্তাহের বেশী অস্থায়ী ব্রেড এন্ড ব্রেকফাস্ট ব্যবস্থাপনায় থাকা আরো ২শ ৩৮টি পরিবারকে রিহাউজিং এর ব্যবস্থা করা ইত্যাদি।
মেয়র বিগস তার বক্তব্যে টাওয়ার হ্যামলেটসের হাউজিং সমস্যাকে সবচাইতে বড় চ্যালেঞ্জ হিসাবে আখ্যায়িত করে বলেন, এই সমস্যা কোন বিমূর্ত বিষয় নয়, এটাই এখানকার বাস্তবতা। আর এই বাস্তবতাকে আরো কঠিন করে তুলেছে হাউজিং স্টকের স্বল্পতা, বর্তমান কনজারভেটিব সরকারের নতুন হাউজিং এন্ড প্ল্যানিং এ্যক্ট নিয়ে অনিশ্চিয়তা।
মেয়র জানান, ঘরবাড়ীর উচ্চচ মূল্য, ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপ এবং কাউন্সিলের বাড়ীর জন্য ২০ হাজার ওয়েটিং লিস্ট সারা দেশে আমাদেরকে এই সমস্যার শীর্ষে রেখেছে। তারপরও গত এক বছরে আমরা সাধারন বাসিন্দাদের সামর্থ্যরে মধ্যে এবং ফ্যামিলি সাইজের বাড়ী বানানোর ক্ষেত্রে আমরা সাফল্য অর্জন করেছি।
এছাড়া নতুন নির্মিত বাড়ীগুলো যাতে বসবাসের যোগ্য হয় এই ব্যবস্থা রাখার পরিষ্কার নির্দেশনা রয়েছে। যেমন জিপি, স্কুল, ভালো যাতায়াত ব্যবস্থা, দোকান, পর্যাপ্ত খোলামেলা জায়গা ইত্যাদি থাকতে হবে। আর এজন্য আমি গঠন করেছি বিশেষ এফোর্ডেবল কমিশনম্ব। এই কমিশনের মূল লক্ষ্য হচ্চেছ আমাদের হাউজিং পার্টনারদের সাথে যৌথভাবে কাজ করে বাসিন্দাদের সামর্থের মধ্যে বাড়ী বানানো।
মেয়র বলেন, সামর্থ্যরে মধ্যে বাড়ী বানানের জন্য কাউন্সিলের তত্ত্বাবধানে নতুন হাউজিং কোম্পানী প্রতিষ্টাও আমার পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে। তিনি বলেন, বাড়ী বানানোর ক্ষেত্রে আমি মোট সংখ্যার চেয়ে কতগুলো আমাদের বাসিন্দাদের সামর্থ্যরে মধ্যে নির্মিত হয়েছে এই সংখ্যায় বিশ্বাসী।