তানভীর সোহেল: ঈদের পরপরই চূড়ান্ত আন্দোলনে যাওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই প্রধান বিরোধী দল বিএনপির। আপাতত ধারাবাহিক রাজনৈতিক কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কর্মীদের মনোবল চাঙা রাখার কৌশল নিয়েছে দলটি। বিএনপির শীর্ষ কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
বিএনপির নেতারা বলছেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা বিএনপির আন্দোলন করার মতো সাংগঠনিক শক্তি নেই বলে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা অবান্তর বলে মন্তব্য করেছেন। তাঁরা বলছেন, রাজপথে আন্দোলনে বিএনপি জনগণকে সঙ্গে পাবে, এটি নিশ্চিত। কিন্তু ঈদের পর তাঁরা বেশ কিছু বৈঠক করবেন এবং ভবিষ্যত্ কর্মপন্থা নির্ধারণ করবেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ বলেন, ‘ঈদের পরপরই চূড়ান্ত আন্দোলনে যাচ্ছি—বিষয়টি তেমন নয়। কয়েকটি বৈঠক হবে, সেখানে আমরা ঠিক কীভাবে এগোব, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। সামনে সংসদ অধিবেশন আছে। নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থায় কোনো পরিবর্তন আনতে হলে, এই অধিবেশনে উদ্যোগ নিতে হবে। সে হিসেবে সংসদ অধিবেশন খুব গুরুত্বপূর্ণ।’
‘ঈদের পর বিএনপি অভ্যুত্থান করতে চায়, কিন্তু অভ্যুত্থানের ক্ষমতা দলটির নেই’—এ কথা বলেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। এর পরিপ্রেক্ষিতে মওদুদ আহমদ বলেন, আন্দোলনের ধারা এখন বদলেছে। ঊনসত্তর সালে যে গণ-অভ্যুত্থান হয়েছে , তা এখন আর সম্ভব নয়। তবে গণবিস্ফোরণ হতে পারে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিএনপির যে আন্দোলন তাতে জনগণের সমর্থন আছে।
স্থায়ী কমিটির অপর সদস্য তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘রোজার মাসকে আমরা সাংগঠনিক মাস হিসেবে পালন করেছি। নিজেদের গুছিয়ে তুলেছি। নির্বাচন প্রস্তুতি ও দাবি আদায়ের আন্দোলন একযোগে চলবে।’
সূত্রগুলো বলছে, বিএনপি আগস্ট মাসেও বেশ কিছু কর্মসূচি পালন করবে। প্রধানত কর্মীদের চাপেই দলটি বারবার ‘কঠোর কর্মসূচির’ হুমকি দিচ্ছে।
স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. মাহবুবুর রহমান বলেন, সংলাপ না হলে সংঘাত অনিবার্য। সরকার সংলাপের উদ্যোগ না নিলে আন্দোলন করা ছাড়া উপায় থাকবে না। সরকারের উচিত ছিল আরও আগেই সংলাপের উদোগ নেওয়া। এখনো উদ্যোগ না নিলে গণতন্ত্র শঙ্কার মুখে পড়তে পারে।
Leave a Reply