আধ্যাত্মিক শহর পুন্যভূমি সিলেটে ভাষ্কর্যের নামে মূর্তি নিমাণের প্রতিবাদে ইসলামী সংগনগুলো আন্দোলনের ডাক দিয়ে মাঠে নামছেন। উল্লেখ্য যে, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় সোয়া কোটি টাকা ব্যয়ে একটি ভাষ্কর্য স্থাপনের খবর ছড়িয়ে পড়লে ইসলামী সংগঠনগুলো তঃপর হয়ে উঠে। তারা বিষয়টিকে পূন্যভূমি সিলেটের জন্য মর্যাদা বিনষ্টের পায়তারা মনে করছেন।
সিলেটের সর্বদলীয় নেতৃবৃন্দ এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, হযরত শাহ জালাল (র.) সিলেটে এসে মানুষকে মূর্তিপূজা থেকে বিরত রেখে ইসলামের মহান আদর্শকে প্রচার করেগেছেন। অসংখ্য ওলি আউলিয়ার পদভারে ধন্য এই সিলেটের পুন্যভ’মিকে আবার ও মূর্তির নগরীতে পরিনত করতে উঠেপড়ে লেগেছে। তারা বলেন, বাংলার আধ্যাত্মিত রাজধানী সিলেটের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘‘শাহ জালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়’’কে কতিপয় নাস্তিক-র্মুতাদরা তাদের আস্তানা বানাতে চাচ্ছে, ধর্মপ্রাণ সিলেট বাসীতাদের সেই আকাংখা বাস্তবায়ন করতে দিবেনা। আমরা প্রয়োজনে বুকের তাজা রক্তদিয়ে হলেও শাহ জালালের উজ্জত রক্ষা করবো।
রিপোটের অনুসন্ধানে জানা গেছে, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, ইসলামী ঐক্যজোটসহ কওমী মাদ্রাসা কেন্দ্রীক আলেমদের সমন্বয়ে অচিরেই সর্বদলীয় কর্মসুচি আয়োজনে অতিব্যস্থ। এব্যাপারে সিলেট মহানগর জমিয়তের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ আব্দুর রহমান সিদ্দিকী বলেন, হযরত শাহ জালাল (র.) সিলেটে এসে গৌড় গোবিন্দকে পরাজিত করে ইসলামের পতাকা উড্ডয়ন করেছিলেন। তিনি মূর্তি পূজা বন্ধ করে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিয়েছেন এই পুন্যভূমিতে। তার অবদানেই সিলেট আজ আধ্যাত্মিক রাজধানী, তাই পুন্যভূমি সিলেটের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্টান শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটি টাকা ব্যয়ে মূর্তিস্থাপন করা সিলেটের ইতিহাস ঐতিহ্যের পরিপন্থি।
আরো এক প্রশ্নের জবাবে, খেলাফত মজলিস সিলেট জেলা সভাপতি মাওলানা রেজাউল করিম জালালী বলেন, শাবির সাথে সিলেটের ধর্মীয় অনুভুতি, ঐতিহ্য জড়িত, তাই এই প্রতিষ্ঠানে প্রকাশ্যে মুর্তিপূজা কখানো সহ্য করা হবে না।
শাবিতে মূর্তিস্থাপনের প্রতিবাদে মাঠপর্যায়ে কঠোর আন্দোলনের প্রস্তুতি চলছে। গত মঙ্গলবার নগরীর একটি হোটেলে এক প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এরই আলোকে আগামী ৩০শে ডিসেম্বর রোববার বন্দর বাজারস্থ একটি অভিজাত হোটেলে সর্বদলীয় নেতাদের এক সভা অনুষ্ঠিত হবে। এই সভা থেকে বিস্তারিত কর্মসুচি ঘোষণা করা হবে।
Leave a Reply