শীর্ষবিন্দু নিউজ ডেস্ক: ব্রেক্সিট নিয়ে নিজের দলেই বিদ্রোহের মুখে পড়ছেন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে। পার্লামেন্টের হাউজ অব কমন্সে লিসবন চুক্তির ৫০ নম্বর অনুচ্ছেদ ভোটে দেয়া হলে ক্ষমতাসীন কনজার্ভেটিভ দলের বেশ কিছু সংখ্যক এমপি এর বিরুদ্ধে ভোট দেবেন।
এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন লিবারেল ডেমোক্রেট দলের নেতা টিম ফ্যারন। এমনিতেই হাইকোর্টের রায়ে বেশ বেকায়দায় রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী তেরেসা। অনুচ্ছেদ ৫০ সক্রিয় করার আগে আদালত তা পার্লামেন্টে ভোটে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
ফলে বৃটিশ মিডিয়ার মতে, ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া এর মধ্য দিয়ে অচলাবস্থায় পড়েছে। আদালতের নির্দেশের বিরুদ্ধে সরকার এরই মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেছে। ৫ই ডিসেম্বর এর শুনানি শুরু হচ্ছে। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ওপর এখন নির্ভর করছে পরবর্তী করণীয়।
সুপ্রিম কোর্টে যদি হাই কোর্টের রায়কেই বহাল রাখে তাহলে অবশ্যই তেরেসা মে সরকারকে অনুচ্ছেদ ৫০ সক্রিয় করা নিয়ে পার্লামেন্টে ভোটে দিতে হবে। যদি তা-ই হয় তাহলে তার নিজের দলের ভিতরের অনেক এমপি এর বিরুদ্ধে ভোট দেবেন। এমন কথা বলেছেন টিম ফ্যারন। এ খবর দিয়েছে লন্ডনের অনলাইন দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট।
টিম ফ্যারন এ ওয়েবসাইটটিকে একটি সাক্ষাতকার দিয়েছেন। ব্রেক্সিট বিষয়ে দ্বিতীয় গণভোট দেয়া না হলে তিনিও অনুচ্ছেদ ৫০ এর বিরুদ্ধে ভোট দেবেন বলে জানিয়েছেন। বলেছেন, দ্বিতীয় গণভোট দেয়া না হলে তিনি অনুচ্ছেদ ৫০ সক্রিয় করার বিরুদ্ধে ভোট দিতে তার পার্লামেন্টারি সহযোগিদের নির্দেশনা দেবেন। শুধু নিজের দলই নয়। এ নিয়ে তিনি ক্ষমতাসীন কনজার্ভেটিভ পার্টি ও বিরোধী লেবার দলের এমপিদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন।
ওইসব এমপি স্বেচ্ছায় ব্রেক্সিট নিয়ে সরকারি পরিকল্পনার বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছেন। ওই সাক্ষাতকারে তিনি বলেছেন, আমি মনে করি এমন এমপির সংখ্যা অনেক। লেবার দলের অনেক এমপি আমাকে মাঝে মাঝেই থামিয়ে দেন। আমরা যেটা বলছি তাদের দলই তাই বলছে। তাদের সংখ্যা অনেক। এর মধ্যে রয়েছেন অনেক সিনিয়র নেতা।
টিম ফ্যারন বলেছেন, আমাকে এ কাজে উদ্বুদ্ধ করছেন ক্ষমতাসীন কনজার্ভেটিভ দলের প্রায় অর্ধ ডজন এমপি। তারা মনে করছেন, আমাদের অবস্থান যৌক্তিক ও গণতান্ত্রিক। এ বিষয়ে তারা কিছু করতে পারেন নি বলে দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
কনজার্ভেটিভ দল সহ অন্য দলগুলোতে এমন অনেক মানুষ আছেন যারা দলের শীর্ষ স্থানীয়দের নির্দেশনা উপেক্ষা করতে পারেন। তার কাছে প্রশ্ন করা হয়েছিল তিনি কি অনুচ্ছেদ ৫০ এর বিরুদ্ধে হাউজ অব কমন্সে ভোট দেবেন কিনা। জবাবে তিনি বলেন, অবশ্যই। যারা আমার সঙ্গে একমত হয়েছেন তারা স্বেচ্ছায় এ নিয়ে কথা বলেছেন। তারা বলেছেন, নেতৃত্ব নিয়ে তারা হতাশ।