শীর্ষবিন্দু আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান সংশোধনের তাগিদ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্প।
একই সঙ্গে কেউ যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা পোড়ালে তার নাগরিকত্ব বাতিল অথবা এক বছরের জেল দেয়ার প্রস্তাব করেছেন। এ ইস্যুটি সংবিধানে সংশোধনের মাধ্যমে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এ বিষয়ে তিনি টুইট করেছেন। তাতে বলেছেন, যে বা যারা যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা পোড়াবে তাদেরকে করুণ পরিণতির মুখে পড়া উচিত।
এক্ষেত্রে তিনি তাদের নাগরিকত্ব বাতিল ও জেলের ইস্যুটি সামনে আনেন। তিনি মনে করেন এটা হবে উপযুক্ত শাস্তি। ২৯শে নভেম্বর খুব ভোরে এ নিয়ে তিনি টুইট করেন। দেশে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জালিয়াতির যে দাবি তিনি করেছেন তা নিয়ে এরই মধ্যে সিএনএন রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। এ জন্য তিনি সিএনএনের ওপর টুইটে ক্ষোভ ঝারেন।
উল্লেখ্য, উইসকনসিনে নির্বাচনের ভোট নতুন করে গণনার আবেদন করেছেন গ্রিন পার্টির প্রার্থী জিল স্টেইন। তার আবেদন আমলে নিয়ে সেখানকার নির্বাচন কমিশন এরই মধ্যে ভোট গণনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এতে সমর্থন দিয়েছে ডেমোক্রেট প্রার্থী, পরাজিত হিলারি ক্লিনটনের নির্বাচন টিম।
এছাড়া রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে যে, ট্রাম্পের চেয়ে হিলারি প্রায় ২০ লাখ পপুলার ভোট বেশি পেয়েছেন। এরই প্রেক্ষিতে ট্রাম্প টুইট করেন। তিনি তাতে দাবি করেন, নির্বাচনে লাখ লাখ অবৈধ ভোট পড়েছে। এ নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন মিডিয়া যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করে। কিন্তু যেসব বিক্ষোভকারী যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা পোড়াচ্ছে তাদের দিকে মঙ্গলবার মনোযোগ দেন ডনাল্ড ট্রাম্প। তিনি এ নিয়ে ওইদিন স্থানীয় সময় সকাল ৫টা ৫৫ মিনিটে তিনি একটি টুইট করেন।
তাতে তিনি লিখেছেন, কাউকে আমেরিকার পতাকা পোড়াতে দেয়া উচিত হবে না। যদি কেউ পতাকা পোড়ায় তাহলে তাদেরকে অবশ্যই করুণ পরিণতি ভোট করতে হবে। সম্ভবত সেক্ষেত্রে তাদের নাগরিকত্ব বাতিল করা হবে, না হয় এক বছরের জেল হবে! এখানে উল্লেখ্য, ১৯৮৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট একটি রুল দেয়।
তাতে বলা হয়, প্রথম সংশোধনী দিয়ে পতাকা পোড়ানোকে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এটা মুক্ত মত প্রকাশের অধিকারকে রক্ষা করে। তবে ২০০৫ সালে ডনাল্ড ট্রাম্পের এবারের নির্বাচনের বিরোধী হিলারি ক্লিনটন একটি বিলে সম্মতি দিয়েছিলেন।
তাতে বলা হয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা পোড়ানো একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ অপরাধে এক বছরের জেল ও এক লাখ ডলার জরিমানা করা উচিত। মঙ্গলবার সকালে এ নিয়ে নতুন করে কথা বললেন ডনাল্ড ট্রাম্প।
এরপর পরই তিনি ওই দিন সকাল ৭টায় সিএনএনকে আক্রমণ করে টুইট করেন। সিএনএনের ওয়াশিংটন প্রতিনিধি জেফ জেলেনির একটি রিপোর্টে তিনি আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ডনাল্ড ট্রাম্প দুর্বল বিজয় অর্জন করেছেন এমনটাই প্রতিভাত হয়।
তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পপুলার ভোটে বিজয়ী হয়েছেন বলে যে দাবি করেছেন তার পক্ষে কোনোই প্রমাণ নেই। হিলারি ক্লিনটন এখন তা চেয়ে ২০ লাখের বেশি পপুলার ভোট পেয়ে এগিয়ে আছেন। কিন্তু ট্রাম্প দাবি করছেন নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির শিকার হয়েছেন তিনি।
ট্রাম্প এক টুইটে লিখেছেন, ইলেক্টোরাল কলেজ ভোটে আমি ভূমিধস বিজয় অর্জন করেছি। তা সত্ত্বেও যে লাখ লাখ অবৈধ ভোট পড়েছে তা বাদ দিলে আমি পপুলার ভোটেও বিজয়ী।
তবে তিনি নির্বাচনে জালিয়াতির শিকার এবং সেই নির্বাচনে তিনি বিজয়ী হয়েছেন এমন দাবি অপ্রত্যাশিত। তবে নির্বাচনে জালিয়াতির কোনো প্রমাণ নেই হিলারির কাছে। তিনি এমনটা বলেছেন। তবে তিনি উইসকনসিনের ভোট গণনায় সমর্থন দিয়েছেন।