শিশু বিভাগ ডেস্ক: এমন কোন বাড়ি নেই, যেখানে বাচ্চার পড়া নিয়ে হইচই হয় না। বাচ্চাকে স্কুলে ভর্তি করে দিলেন। ভাবছেন এখানেই মা-বাবার কিছুটা মুক্তি।
একথা একবারেই ঠিক নয়। নজর রাখুন স্কুলের হোমওয়ার্ক কি সে নিজেই করে?
অধিকাংশ বাবা-মাকেই পোহাতে হয় বাচ্চার হোমওয়ার্কের ঝক্কি-ঝামেলা। আর একটা সময় সেটা তাদের কাছে যথেষ্ট মাথা ব্যথার কারণও হয়ে দাঁড়ায়।
গবেষণা বলছে, ছেলেমেয়ের হোমওয়ার্ক তাকেই করতে দিন। তার পিছনে যথেষ্ট যুক্তি আছে বলেই এই পরামর্শ।
১. সন্তানের হোমওয়ার্ক তাকেই সারতে দিন। ছোটো থেকে তার এই অভ্যাস হওয়া জরুরি। তবেই সে ক্রমে স্বনির্ভর হওয়ার পথে এগোবে।
২. হোমওয়ার্কের জন্য বাবা মা বা অন্য কারও উপরই ভরসা করতে দেয়া উচিত নয়। তাহলে তার মধ্যে অলস প্রকৃতির অভ্যাস তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। মাথা খাটিয়ে সে যত নিজের সমস্যার সমাধান করতে শিখবে তত বুদ্ধির বিকাশ হবে।
৩. নিজের কাজ নিজে করতে পারলে আত্মবিশ্বাস বাড়ে।
৪. নিজে নিজে যখন আপনার সন্তান কোনও কাজ শুরু করবে তখন তার অনেক ভুল হবে। এতে ঘাবড়াবেন না। ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েই তাকে তৈরি হতে দিন।
৫. নিজে নিজে হোমওয়ার্ক সেরে ফেলার অভ্যাস তৈরি হলেই সে দক্ষ হয়ে যাবে। দেখবেন ক্লাসেও নিজে নিজেই নোট নিতে শিখে গেছে। স্কুলে কবে কী পরীক্ষা বা প্যারেন্টিং মিটিং আছে সে নিজেই আপনাকে এসে জানাবে। স্কুলে ফোন করে আপনাকে আর আলাদা করে এসব জেনে নিতে হবে না।
৬. শিশুদের পড়ানোর জন্য একটা নির্দিষ্ট সময় স্থির করে নিন। পরিবারের বাকি সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে বের করতে চেষ্টা করুন কোন সময়টা শিশুকে পড়ানোর জন্য ঠিক হবে। উপরের বিষয় মনে রেখে, বাচ্চার স্বাস্থ্য ও অভ্যাস বুঝে তার পড়াশোনার সময় নির্দিষ্ট করুন।