শীর্ষবিন্দু আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক: সিআইএ ও এনএসএ’র সাবেক কর্মী এডওয়ার্ড স্নোডেনের ফাঁস করা ২০০৮ সালের একটি নথিতে দেখা যায়, বৃটিশ গোয়েন্দারা ইরান নিয়ে ইসরাইলের অবস্থান সম্পর্কে উদ্বিগ্ন ছিলেন।
একটি নথিতে দেখা যায়, যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাধর সিগন্যাল ইন্টিলিজেন্স সংস্থা জিসিএইচকিউ ইসরাইলকে মধ্যপ্রাচ্যের সত্যিকার হুমকি হিসেবে আখ্যায়িত করে। নথিতে দেখা যায়, ইসরাইলি কূটনীতিক, প্রতিরক্ষা ফার্ম ও সামরিক বাহিনীর ওপর গোয়েন্দাগিরিও চালিয়েছে জিসিএইচকিউ। বুধবার ফরাসি শীর্ষ দৈনিক ল্য মন্ডে এডওয়ার্ড স্নোডেনের ফাঁসকৃত নথিপত্রের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন ছেপেছে।
২০০৯ সালের একটি টপ-সিক্রেট নথিতে জিসিএইচকিউ লিখেছে, আঞ্চলিক নিরাপত্তার ওপর সত্যিকার হুমকি তৈরি করেছে ইসরাইল। বিশেষ করে, ইরান ইস্যুতে দেশটির অবস্থানের কারণে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
ল্য মন্ডে পত্রিকার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসরাইলি কূটনীতিকদের ব্যাপারে নিয়মিত তথ্য সংগ্রহ করেছে জিসিএইচকিউ। নজরদারির আওতায় ছিলেন ইসরাইলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন দ্বিতীয় শীর্ষ পদমর্যাদার কর্মকর্তাও। তবে তার উল্লেখ করা হয়নি। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ফিলিস্তিনি কতৃপক্ষের ওপরও গোয়েন্দাগিরি চালিয়েছে বৃটিশরা।
নাইজেরিয়া ও কেনিয়ায় দুই ইসরাইলি রাষ্ট্রদূতের ইমেইল আলাপচারিতাও বৃটিশদের গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের আওতায় পড়েছিল। ফাইবার অপটিকসে দক্ষ ওফির অপ্ট্রনিক্স নামে একটি প্রতিরক্ষা কোম্পানির ওপরও নজরদারি চালানো হয়।
এ ফার্মের সঙ্গে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা সংস্থাগুলোর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে বলে ধারণা করা হয়। বৃটিশদের নজরদারিতে ছিল জেরুজালেম হিব্রু বিশ্ববিদ্যালয়ের রাকাহ ইন্সটিটিউট অব ফিজিক্স বিভাগও।
ল্য মন্ডের খবরে আরও বলা হয়, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ও তার দুই ছেলে ইয়াসের ও তারেক আব্বাসের ফোনে নজরদারি চালায় জিসিএইচকিউ। গাজায় ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে সামরিক হামলা চালায় ইসরাইল। এর দুই সপ্তাহ আগ থেকে এ নজরদারি চালানো হয়। প্রতিবেদনে ইঙ্গিত দেওয়া হয়, অভিযান প্রস্তুতিতে ইসরাইলকে সহায়তা করার উদ্দেশ্যেই বৃটিশরা এ কাজ করে।
২০০৮ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত পিএলও মহাসচিব ও ফ্রান্স, বেলজিয়াম, পর্তুগাল, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা ও মালয়েশিয়ায় ফিলিস্তিনি প্রতিনিধিদলের ওপর গুপ্তচরবৃত্তি চালায় জিসিএইচকিউ। ইসরাইলি আরব আইন প্রণেতা ড. আহমাদ তিবি ও সাবেক ফিলিস্তিনি প্রধানমন্ত্রী আহমেদ কুরেইও রেহাই পাননি।