সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:০০

ট্রাম্প প্রশাসনে কি হবে ভূমিকা মেয়ে ইভানকা ও জামাতা কুশনারের

ট্রাম্প প্রশাসনে কি হবে ভূমিকা মেয়ে ইভানকা ও জামাতা কুশনারের

শীর্ষবিন্দু আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক: প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনে তার মেয়ে ইভানকা ট্রাম্প ও জামাতা জারেড কুশনারের ভূমিকা কি হবে তা নিয়ে নানা জল্পনা।

তবে আস্তে আস্তে বিষয়টি প্রকাশ পেতে শুরু করেছে। বলা হচ্ছে, পিতার প্রশাসনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করবেন ইভানকা। ফার্স্টলেডির জন্য সাধারণত যেসব দায়িত্ব দেয়া হয় তার অনেকটাই ইভানকা করবেন।

তবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মুখপাত্র হোপ হিকস বলেছেন, এখনও ইভানকার কি ভূমিকা থাকবে সে সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় নি। এ খবর দিয়েছে অনলাইন সিএনএন।

এতে বলা হয়েছে, বর্তমান ফার্স্টলেডির অফিস হোয়াইট হাউজের ইস্ট উইংয়ে। সেখানে ট্রাম্পের ট্রানজিশন সহযোগীরা এরই মধ্যে ‘অফিস অব দ্য ফার্স্ট ফ্যামিলি’ চালু করার পরিকল্পনা করছেন। এসব কথা বিভিন্ন সূত্র বলেছে সিএনএনকে।

উল্লেখ্য, পরবর্তী ফার্স্টলেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের হোয়াইট হাউজে যথারীতি ভূমিকা থাকবে। তবে সেক্ষেত্রে অনেকটা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে পারেন ইভানকা, এমনটাই বলছেন সূত্র। একটি সূত্র বলেছেন, ইভানকা ওয়াশিয়টনে আতিথেয়তার ভূমিকা পালন করতে পারেন ইভানকা। পাশাপাশি পারবারিক ছুটি থেকে জলবায়ু পরিবর্তনের মতো ইস্যুতে তিনি পিতার উপদেষ্টার ভূমিকাও পালন করতে পারেন।

তবে ইভানকা ও তার স্বামী জারেড কুশনারের এক্ষেত্রে পদবী (টাইটেল) কি হবে তা এখনও চূড়ান্ত হয় নি। ডারেড কুশনার নিজে একজন প্রকাশক ও ব্যবসায়ী। তার ভূমিকা কি হবে তা নিশ্চিত হওয়ার কাছাকাছি রয়েছেন তিনি।

এক্ষেত্রে দুটি ক্ষেত্র অগ্রাধিকারে রয়েছৈ। তা হলো ওয়েস্ট উইং এবং সেখানে তিনি একটি অফিস স্থাপন করতে পারেন। তাদের পরিকল্পনা সম্পর্কে জানেন এমন সূত্র এসব তথ্য দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, নির্বাচনী প্রচারণার সময় শ্বশুর ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন কুশনার। তিনি ছিলেন ট্রাম্পের শীর্ষ উপদেষ্টা। পাশাপাশি ছিল ট্রাম্পের তিন সন্তান ডনাল্ড জুনিয়র, এরিক ও ইভানকা। এরই মধ্যে ডনাল্ড ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন তার ছেলে ডোনাল্ড জুনিয়র ও এরিক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করবেন।

এ বিষয়ে ট্রাম্প বলেছেন, আমার দু’সন্তান ডোনাল্ড ও এরিক সহ নির্বাহীরা (ব্যাবসা) দেখাশোনা করবে। আমি প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে থাকাকালীন নতুন কোনো চুক্তি হবে না (ব্যবসায়)। তবে কুশনার ও ইভানকার স্থান হবে ওয়াশিংটনে। সেখানে তারা সরকারের খুব কাছে থেকে কাজ করবেন।

তবে এ সংক্রান্ত বিস্তারিত এখনও পরিস্কার নয়। নিজের আত্মীয়-স্বজনকে এভাবে দায়িত্বে আনা নিয়ে সমালোচনাও হচ্ছে। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রে ১৯৬৭ সালে পাস হয়েছে আত্মীয়করণ বিষয়ক আইন। তাতে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় এজেন্সিতে সরকারি দায়িত্বে কোনো আত্মীয়কে নিয়োগ বা অনুমোদন দেয়া যাবে না।

এক্ষেত্রে জামাতা জারেড কুশনার তার বৈবাহিক সূত্রে ডনাল্ড ট্রাম্পের আত্মীয়। তাদের মধ্যে রক্তের কোনো সম্পর্ক নেই। তা সত্ত্বেও কুশনার তার জামাতা। ওই আইনের অধীনে আত্মীয় বলতে যা বোঝায় তার আওতায় পড়েন তিনি। তবে এক্ষেত্রে আইনের ফাঁকফোকর থাকতে পারে।

ট্রাম্পের শীর্ষ একজন উপদেষ্টা কেলিয়ানি কনওয়ে বৃহস্পতিবার বলেছেন, এ আইনটি প্রয়োগ করা হয় মন্ত্রীপরিষদের সদস্যদের বেলায়। ওয়েস্ট উইংয়ে কাউকে নিয়োগের বেলায় এক্ষেত্রে ফাঁকফোকর আছে।




Comments are closed.



পুরানো সংবাদ সংগ্রহ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  
All rights reserved © shirshobindu.com 2012-2024