শীর্ষবিন্দু আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক: আজ রবিবার মিয়ানমারের সীমান্ত অভিমুখে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের লংমার্চ কর্মসূচি পুলিশি বাধায় বন্ধ হয়ে গেছে। দলটির কর্মীরা যাত্রাবাড়ীতে পুলিশি বাধার মুখে পড়ে। এ কারণে লংমার্চ করতে না পেরে দলটি পল্টনে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নেয়।
সংগঠনের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আতিকুর রহমান জানান, তাদের কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দিয়েছে। এ কারণে শেষ পর্যন্ত পল্টনে কার্যালয়ের সামনেই সমাবেশ করছেন তারা।আতিকুর রহমান বলেন, আজ আমাদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি ছিল। সে কারণে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে নেতাকর্মীরাও এসে হাজির হন। তার দাবি এ কর্মসূচির বিষয়ে পুলিশের মৌখিক সমর্থনও ছিল। কিন্তু গতরাতে হঠাৎ করে কর্মসূচি স্থগিতের কথা বলা হয়। এরপরও আমরা কমসূচি চালিয়ে গেলে পুলিশ বাধা দেয়।
এদিকে সড়ক অবরোধ করে এ সমাবেশের কারণে পল্টন এলাকায় বাড়তি যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। চরমোনাই পীর এ সমাবেশ উপস্থিত আছেন।রোহিঙ্গা মুসলমানদের গণহত্যা, ধর্ষণ, বাড়ি-ঘরে অগ্নিসংযোগ বন্ধ এবং এর বিচার দাবিতে মিয়ানমার অভিমুখে লংমার্চের ডাক দেন চরমোনাই পীর মুফতি রেজাউল করিম। যাত্রাবাড়ী কাজলা ফ্লাইওভারের গোড়ায় জমায়েত শেষে সকাল সাড়ে ১০টায় এই লংমার্চ শুরু হওয়ার কথা ছিল।
এ উপলক্ষে গতকাল দুপুরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে লংমার্চ বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক প্রিন্সিপাল মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানীসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মিয়ানমারে সেনা-পুলিশ ও রাখাইন বৌদ্ধদের বর্বরোচিত রোহিঙ্গা মুসলিম গণহত্যা, ধর্ষণ, বাড়ি-ঘরে অগ্নিসংযোগ ও নির্যাতন বন্ধ এবং তাদের সকল প্রকার নাগরিক ও মানবিক অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণকারী পাঁচ লক্ষাধিক রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেওয়া আন্তর্জাতিক আদালতে এসব গণহত্যা ও ধর্ষণের বিচার মিয়ানমারের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্যে মানবিক বিপর্যয় রোধ এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের দাবিতে এই লংমার্চ অনুষ্ঠিত হবে।