শীর্ষবিন্দু নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটির ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আরও দুই আসামির সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার ঢাকার মহানগর হাকিম জাকির হোসেন টিপু এ আদেশ দেন।
আসামি দুজন হলেন বিমানের প্রকৌশল কর্মকর্তা এস এম রোকনুজ্জামান ও টেকনিশিয়ান সিদ্দিকুর। এর আগে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে দুই আসামিকে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের পরিদর্শক মাহবুব আলম।
এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ডের আবেদন খারিজ চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম জাকির হোসেন টিপু জামিন আবেদন নাকচ করে দিয়ে প্রত্যেকের সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে ২২ ডিসেম্বর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন সিদ্দিকুর ও রোকনুজ্জামান। তবে সেদিন তাদের জামিন আবেদন খারিজ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ঢাকার মহানগর হাকিম স্নিগ্ধা রানী চক্রবর্তী। একই দিন এই মামলায় সাত আসামিকে সাত দিন করে রিমান্ডে পাঠান আদালত।
২১ ডিসেম্বর তাদের গ্রেপ্তার করে সিটিটিসি। এ মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১২ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত। ২০ ডিসেম্বর রাতে বাংলাদেশ বিমানের প্রধান প্রকৌশলীসহ নয়জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করা হয়।
গত ২৭ নভেম্বর হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টে যাওয়ার পথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। পরে বিমানটি তুর্কমেনিস্তানের আশখাবাদে জরুরি অবতরণ করে। সেখানে ত্রুটি সারিয়ে চার ঘণ্টা পর বুদাপেস্টের উদ্দেশে উড়ে যায় বিমানটি। ওই বিমানের ইঞ্জিন অয়েলের ট্যাঙ্কের একটি নাট ঢিলা হওয়ার পেছনে নাশকতা ছিল কি-না, তা খতিয়ে দেখতে ২৮ নভেম্বর পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করে বিমান মন্ত্রণালয়।
ঘটনা তদন্তে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) আরো দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। এই দুই কমিটি এরই মধ্যে তাদের প্রতিবেদন দিয়েছে। বরখাস্ত হয়েছেন মামলার আসামিরাও।