রোমান বখত চৌধুরী: দক্ষ জনশক্তি আমদানিতে ব্রিটিশ কোম্পানিগুলোকে লেভি হিসেবে বাৎসরিক ১ হাজার পাউন্ড করে দিতে হবে। একে ইমিগ্রেশন স্কিল চার্জ হিসেবে নামকরণ করা হয়েছে।
পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী এপ্রিল, ২০১৭ থেকে এ নিয়মটি নন ইইউ দেশ থেকে দক্ষ জনশক্তি আমদানির উপর প্রযোজ্য হবে।
তবে ইমিগ্রেশন মিনিস্টার রবার্ট গুডউইল জানিয়েছেন, এ নিয়ম ইউরোপীয় নাগরিকদের বেলাও কার্যকর হতে পারে ব্রেক্সিটের পর। কারণ ব্রেক্সিটের ভোটাভুটিতে জনগণ ইতোমধ্যে ইমিগ্রেশন ও দক্ষ জনশক্তি আমদানির বিরুদ্ধে অবস্থান পরিষ্কার করেছে।
তবে ইইউ নাগরিকদের উপর এ নিয়ম কার্যকরের বিষয়টি ব্রেক্সিটের আগামী রূপরেখার উপর নির্ভর করবে।
বিষয়টি এরকম যে, কোন ব্রিটিশ কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ থেকে একজন ডাক্তার ৫ বছর মেয়াদে নিতে চাইলো। তখন ওই কোম্পানি বছর প্রতি ১ হাজার পাউন্ড করে মোট ৫ হাজার পাউন্ড ইমিগ্রেশন স্কিল চার্জ বা লেভি ফি হিসেবে সরকারের খাতায় জমা দিতে হবে। এই ১ হাজার পাউন্ড অতিরিক্ত আকারে অন্যান্য সব খরচ যেমনঃ ভিসা ফি, লেবার মার্কেট টেস্ট খরচের পরে বাড়তি দিতে হবে। নিয়োগ দাতা প্রতিষ্ঠানই এই খরচ বহন করবেন।
ইমিগ্রেশন মিনিস্টার আরও বলেন, ব্রেক্সিটের পরে ৬মাস বা তার কম সময়ের জন্য কিছু কৃষি কাজের উপযোগী কম-দক্ষ জনশক্তি আমদানির বিষয়েও একটি চিন্তাভাবনা করছে সরকার। এর পরিমান হতে পারে ১০ হাজার বা তারও বেশি।
গত ক্রিস্টমাস এর আগে ন্যাশনাল ফার্মারস ইউনিয়ন এ বিষয়টি টিয়ার ২ ভিসায় অন্তর্ভুক্তির জন্য চাপ দিয়েছে। ন্যাশনাল ফার্মারস ইউনিয়ন মনে করছে, ব্রেক্সিটের পর পাউন্ডের দর পতনের কারণে এই সিজনাল বা মৌসুমি কর্মীরা আর আসছেন না।
কনজারভেটিভ সরকারের নেট মাইগ্রেশন ১ লক্ষতে নামিয়ে আনার নীতি এই আরোপিত ইমিগ্রেশন স্কিল চার্জের মূল লক্ষ্য। তাছাড়া ইমিগ্রেশন স্কিল চার্জ দিয়ে সরকারের যে ফান্ড হবে তাতে ব্রিটিশ কর্মীদের আরও ট্রেনিং ও এপ্রেন্টিসশিপের ব্যবস্থা করা হবে।
আর এভাবে ব্রিটিশ কর্মীদের আরও দক্ষ ও যোগ্য করে গড়ে তুলে বিদেশ নির্ভর দক্ষ কর্মীর অভাব পূরণ করা হবে বলে সরকার মনে করছে।
বিদেশি কর্মী আমদানি নির্ভর অনেক প্রতিষ্ঠান প্রধান ইতোমধ্যে সরকারকে সতর্ক করে দিয়েছে। তারা বলেন, এতে দক্ষতার অভাব আরও বাড়বে আর অর্থনীতির গতি নিম্নগামী হবে। আমরা আরও ক্ষতির মুখে পড়বো।
লিবারেল ডেমক্রাট দলের ডন ফসটার মনে করেন, ইমিগ্রেশন মিনিস্টারের মুখ থেকে বের হওয়া একটি বিবেচনাহীন প্রলাপ। আমি মনে করিনা, যুক্তরাজ্যে প্রয়োজনীয় দক্ষ লোক থাকলে কোন প্রতিষ্ঠান এভাবে বাইরে থেকে লোক আনত।
লেবার দলের এমপি ফ্রাঙ্ক ফিল্ড, সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি মনে করেন, এতে ব্রিটিশ জনগণ উপকৃত হবেন।