শীর্ষবিন্দু আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক: হিমালয় কন্যা নেপালে সুন্দরী প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে যারা অংশ নিয়েছে তারা কোনো সুন্দরী রমণী কিংবা পুরুষ নয়। অনুষ্ঠিত হয়েছে সুন্দরী হাতির প্রতিযোগিতা।
দেশটির রাজধানী কাঠমান্ডুর কাছে চিতওয়ান জেলায় গত ২৬ থেকে ৩০ ডিসেম্বর এ সুন্দরী হাতির প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এবার ছিল এর ১৩তম উৎসব। এবার ৫০টিরও বেশি হাতি অংশ নেয়।
পাঁচ দিনব্যাপী চলা উৎসবে আয়োজন করা হয় হাতিদের দৌড় এবং ফুটবল প্রতিযোগিতা৷ এ ছাড়া ছিল ঘোড়া গাড়ি এবং ষাঁড়টানা গাড়ির প্রতিযোগিতা৷ ছিল হাতির ৩০০ মিটার দৌড়। যা উপভোগ করতে উপস্থিত হয় প্রায় ২০ হাজার দেশি-বিদেশি পর্যটক।
হাতি উৎসবের সমন্বয়কারী পান্ডে বলেন, পর্যটকদের আকর্ষণ করতে এই হাতি উৎসব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ২০১৫ সালের ভূমিকম্পের পর ধস নামে দেশটির পর্যটন শিল্পে। তাই ভ্রমণপিপাসুদের আকৃষ্ট করতে নেওয়া হয়েছে এ বিশেষ উদ্যোগ।
উৎসবে আসা এক দর্শনার্থী বলেন, হাতির বল খেলা দেখে এনজয় করেছি। হাতিরা বল নিয়ে খেলছে। বল চলে যাচ্ছে বাউন্ডারির বাইরে। খুবই মজা পাচ্ছি এখানে এসে।
নেপালের সংস্কৃতি, পর্যটন ও বেসামরিক বিমানমন্ত্রী বাহাদুর শাহী বলেন, এ ধরনের উৎসব বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভূমিকম্পের পর আমাদের পর্যটন ব্যবসায় চরম মন্দা দেখা দেয়। পর্যটকরা আবার যেন এখানে আসার উৎসাহ পায় সে উদ্দেশ্যেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
তবে উৎসব সফল হলেও প্রাণী অধিকার কর্মীরা হাতিদের নিয়ন্ত্রণে মাহুতদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ করে। তবে এসব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে আয়োজকরা জানিয়েছেন, হাতিদের নিয়ন্ত্রণের পদ্ধতি মোটেই ক্ষতিকর নয়।