আবদুল আহাদ: সিলেট দিয়ে সুরমা নদী ছাড়াও ছোট বড় ১৪টি ছড়া ও খাল প্রবাহিত হয়েয়ে। তারপরও মাত্র সাড়ে ছাব্বিশ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের ছোট এই নগরের প্রধান সমস্যা জলাবদ্ধতা।
মূলত প্রভাবশালীরা ছড়া ও খালগুলো দখল করে রাখায় বর্ষা মৌসুমে লেগে থাকে জলাবদ্ধতা। তবে সমস্যা সমাধানে ছড়া ও খাল রক্ষায় সিসিকের ইতিহাসে ২শ’ ৩৬কোটি টাকার সর্ববৃহৎ প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এই টাকা দিয়ে ছড়া খনন, উদ্ধার ও সংরক্ষণের পাশাপাশি ছড়ার ওপর ওয়াকওয়ে নির্মাণ ও বিউটিফিকেশন করা হবে।
সরেজমিনে নগরীর তালতলাসস্থ জল্লাছড়া পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, এই ছড়ার মুখ ২৫ ফুট হলেও ২শ’ হাত এগুনোর পর প্রশস্ত ৫ থেকে ১০ ফুট। একই অবস্থা নগরীর বাকি ১৩টি ছড়ারও। কোথাও ছড়ার ওপর নির্মিত হয়েছে ভবন আবার কোথাও ভরাট করা হয়েছে। গত দু’বছরে সিটি কর্পোরেশন কিছু কিছু অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করলেও এখনো বেশিরভাগই বেদখল।
নগরীর পানি প্রবাহের পথ দখল হয়ে যাওয়ায় বর্ষায় জলাবদ্ধতা অভিশাপ হয়ে দেখা দেয় বলছেন সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হাবিব। তিনি বলেন, এই অভিশাপ থেকে নগরবাসীকে মুক্তি দিতে ২৩৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। এ অর্থ দিয়ে ছড়া ও খাল রক্ষার পাশাপাশি বিউটিফিকেশন করা হবে। সেই সাথে সুরমা নদীর দু’পারে নির্মাণ করা হবে নান্দনীক স্থাপনা।
ইতোমধ্যে জল্লাছড়ার ওপর ওয়াকওয়ে নির্মাণের কাজ শুরু করেছে সিটি কর্পোরেশন। এই প্রকল্পের কাজ শেষ হলে সাধারণ মানুষ হেঁটে জিন্দাবাজার থেকে তালতলার দিকে বের হতে পারবে।
এদিকে, অবৈধ দখলদারদের সতর্কবাণী দিয়েছে সিটি কর্পোরেশন। সিসিক প্রধান প্রকৌশলী মোঃ নূর আজিজুর রহমান বলেন, ‘আশা করি আমরা ওভারকাম করতে পারবো।’ তবে, নোটিশ পেয়ে কেউ সরে না গেলে তাদের উচ্ছেদে করারও হুশিয়ারি দেন নূর আজিজ।
প্রকল্পের সাথে জড়িত শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জহির বিন আলম জানালেন, প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে নগরীতে কোনো জলাবদ্ধতা থাকবে না। সিলেট নগরীতে ছড়ার দৈর্ঘ্য ৭২ কিলোমিটার। আর প্রকল্পের অর্থ দিয়ে ৩১ কিলোমিটার ছড়ার সংস্কার করা যাবে।