শীর্ষবিন্দু আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক: তুরস্কের সাংবিধানিক পরিবর্তনের জন্য আগামী এপ্রিলের প্রথম দিকে গণভোটের আয়োজন করা হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম।
এই ব্যবস্থার মাধ্যমে দেশটি সংসদীয় ব্যবস্থা থেকে প্রেসিডেনশিয়াল ব্যবস্থায় চলে যাবে। বুধবার রাজধানী আঙ্কারায় জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (একে) পার্টির প্রাদেশিক প্রধানদের একটি সভায় ইলদিরিম একথা বলেন।
এই সাংবিধানিক প্যাকেজ পরিবর্তনকে গত সপ্তাহে দেশটির পার্লামেন্টে পাশ করা হয়। এটি এখন অনুমোদনের জন্য প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগানের কাছে পাঠানো হবে।
ইলদিরিম বলেন, প্রেসিডেন্ট এই সংশোধনী বিল অনুমোদন করলে এপ্রিলের প্রথমার্ধে এ বিষয়ে একটি গণভোটের আয়োজন করা যেতে পারে।
দেশটির সংবিধান অনুযায়ী, সরকারিভাবে গেজেট প্রকাশিত হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে গণভোট আয়োজন করতে হবে। সেক্ষেত্রে, প্রেসিডেন্ট এরদোগান এই বিল অনুমোদন করলে আগামী ২ এপ্রিল এটি সম্পন্ন করার সম্ভাব্য তারিখ হতে পারে।
গণভোটে এটি জনগণের রায় পেলে দেশটির বর্তমান সংসদীয় ব্যবস্থা থেকে প্রেসিডেন্সিয়াল পদ্ধতিতে ফিরে যাবে। এতে প্রেসিডেন্ট এরদোগান দেশটির নির্বাহী ক্ষমতার মালিক হবেন এবং প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকা বিলোপ হয়ে যাবে।
এছাড়াও, এই ব্যবস্থায় প্রেসিডেন্ট নিজ দলের নেতা হতে পারবেন এবং নির্বাচন আহ্বান করা, জরুরি অবস্থা ঘোষণা এবং আদেশ জারি করার অনুমতি প্রাপ্ত হবেন।
সভায় ইলদিরিম বলেন, প্রস্তাবিত নতুন সিস্টেম তুরস্ককে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী করার পাশাপাশি আন্তর্জাতিকভাবে তুরস্কের প্রভাব বৃদ্ধি করবে।
এই পরিবর্তন শাসকগোষ্ঠীকে স্বৈরাচারী করে তুলবে বলে বিরোধীদলের এই আশঙ্কাকে তিনি প্রত্যাখ্যান করে বলেন, সাংবিধানিক এই পরিবর্তনের মাধ্যমে তুরস্কে স্থায়ী স্থিতিশীলতা ও শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, এরদোগানের শক্তিশালী নেতৃত্ব তুরস্কের আঞ্চলিক বৃদ্ধি পেয়েছে। এক বছর আগে সিরিয়া নিয়ে আলোচনা থেকে তুরস্ককে বাদ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তুরস্ক এখন এ অঞ্চলে নেতৃস্থানীয় অবস্থানে রয়েছে।
উল্লেখ্য, সিরিয়ায় একটি যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে রাশিয়া ও তুরস্ক মধ্যস্থতা চালাচ্ছে। পাশাপাশি যুদ্ধরত পক্ষের মধ্যে শান্তি আলোচনার জন্যও তারা সহায়তা করছে।