শীর্ষবিন্দু আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক: ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসী বিরোধিতার প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রে পালিত হয়েছে অভিবাসীহীন দিবস। গতকাল বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের বড় বড় শহরে অভিবাসীরা কাজকর্ম থেকে বিরত থাকেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
ডে উইদাউট ইমিগ্রেন্ট হিসেবে চিহ্নিত এই দিবসে ওয়াশিংটন ডিসি থেকে শুরু করে সব বড় শহরে অভিবাসী এবং নাগরিক অধিকার সংগঠনগুলো সংহতি শোভাযাত্রা করেছে। কোনো হরতাল বা ধর্মঘটের আহ্বান না থাকলেও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে অভিবাসীদের উপস্থিতি ছিল কম। অভিবাসীরা কেনাকাটাও বন্ধ রাখেন।
আটলান্টা, ওয়াশিংটন ডিসি, টেক্সাস, বোস্টন, শিকাগো, ফিলাডেলফিয়াসহ বেশ কিছু নগরীতে অভিবাসীনির্ভর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো কার্যত বন্ধ ছিল। বিশেষ করে হোটেল রেস্তোরাঁয় অভিবাসী কর্মচারীরা কাজে যোগ দেননি। অনেক প্রতিষ্ঠানের মালিকপক্ষও অভিবাসীদের সমর্থন জানায়।
ওয়াশিংটন ডিসিতে হোয়াইট হাউসের কাছে প্রতিবাদ শোভাযাত্রায় যোগ দিয়েছেন অনেকেই। এরিকা মন্তেজ নামের এক স্কুলশিক্ষক বলেন, যারা কথা বলতে পারছে না, আমি তাদের পক্ষে কথা বলতে এসেছি।
ট্রাম্প নির্বাহী আদেশে সাতটি মুসলিমপ্রধান দেশের নাগরিকদের ভ্রমণের ওপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন। এর মধ্যে সিরিয়ায় অনির্দিষ্টকাল নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। আদালতে এমন নিষেধাজ্ঞার কার্যকারিতা স্থগিত থাকলেও প্রশাসন বসে নেই। অভিবাসীদের মধ্যে সন্দেহ, উৎকণ্ঠা চরমে।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে অবৈধ অভিবাসীদের ব্যাপক ধরপাকড় চলছে। সব অভিবাসী গ্রুপগুলোর মধ্যেই সন্দেহ এবং ভয় রয়েছে। ট্রাম্প বলছেন, আগামী সপ্তাহে অভিবাসন নিয়ে তিনি নতুন নির্বাহী আদেশ জারি করবেন।
যুক্তরাষ্ট্রের বিভক্ত অভিবাসীরা এখন নিজেদের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদে নেমেছেন। প্রতিবাদ আর সংহতির মধ্য দিয়েই যুক্তরাষ্ট্রের চলমান অভিবাসন বিরোধিতা মোকাবিলা করার ঘোষণা দিয়েছে নাগরিক সংগঠনগুলো। হিস্পানিক অভিবাসীদের বড় সংগঠন লা রাজার প্রেসিডেন্ট জেনেথ মারগুইয়া বলেন, বাসন মাজার কর্মী থেকে চিকিৎসক সবক্ষেত্রেই অভিবাসীদের অবদান আছে।
অভিবাসী গ্রুপগুলো বৃহস্পতিবারের কর্মসূচিকে সফল উল্লেখ করে বলেছে, নিজেদের স্বার্থে অভিবাসীরা যে ঐক্যবদ্ধ, এ কথা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আমরা জানাতে চাই। এ ধরনের আরও কর্মসূচি দিয়ে অভিবাসীরা আন্দোলন নিয়ে সোচ্চার থাকবে বলে বিভিন্ন শোভাযাত্রা থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।