সাজসজ্জা ডেস্ক: ব্রণ ত্বকের অন্যতম সমস্যা। বিব্রত হওয়ার জন্য ত্বকের এই একটি সমস্যাই যথেষ্ট। সাধারণত রাতজাগা, দুশ্চিন্তা ও ত্বকের তৈলাক্ত ভাবকে ব্রণের কারণ বলে মনে করা হয়।
কিন্তু খাদ্যাভ্যাসও ত্বকে ব্রণ হওয়ার অন্যতম কারণ। অতিরিক্ত তেল ও মসলাদার খাবার, কোমলপানীয় ও চিনিবহুল খাবার খেলে এবং প্রয়োজনের তুলনায় কম পানি খেলে ত্বক সহজেই ব্রণ দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে।
তাই ত্বকের বাহ্যিক পরিচর্যার পাশাপাশি গড়ে তুলতে হবে সঠিক খাদ্যাভ্যাস।
বাদাম: জিংক ও সেলেনিয়ামের মতো খনিজের অভাবে ব্রণ হতে পারে। সেক্ষেত্রে এসব খনিজের জোগান দিতে পারে বিভিন্ন ধরনের বাদাম। কারণ বেশির ভাগ বাদামে রয়েছে সেলেনিয়াম, ভিটামিন ই, কপার, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম ও আয়রন, যা স্বাস্থ্যকর ত্বকের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
লাল আঙ্গুর: আঙ্গুর ও আঙ্গুরের বিচিতে রয়েছে শক্তিশালী প্রাকৃতিক রাসায়নিক উপাদান ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা ত্বকের প্রদাহ নাশ করে। একই সঙ্গে সোরাইসিস ও একজিমা নিরাময় করে।
বাদামি চালের ভাত: বাদামি চালের ভাতে রয়েছে উচ্চমানের ভিটামিন সি, প্রোটিন, ম্যাগনেশিয়াম ও কয়েক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। ব্রণের জন্য ভিটামিন বি স্কিন স্ট্রেস ফাইটার হিসেবে কাজ করে। যাতে করে হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকে ও ব্রণ, র্যাশ হওয়ার আশঙ্কা কমে।
রসুন: ত্বকের প্রদাহ নাশ করে এমন এক সুপারফুড হলো রসুন। এতে রয়েছে অ্যালিসিন নামক এক প্রকার রাসায়নিক উপাদান, যা দেহের বিভিন্ন ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস মেরে ফেলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
ব্রোকলি: ত্বক পরিষ্কারক খাবার হিসেবে ব্রোকলিকে রাখা যেতে পারে প্রথম সারিতে। এতে রয়েছে স্বাস্থ্য গঠনের মূল উপাদান ভিটামিন এ, বি কমপ্লেক্স, সি, ই ও কে। এ উপাদানগুলো ফ্রি রেডিক্যালের ক্ষতিকারক প্রভাব হটিয়ে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য ধরে রাখতে সাহায্য করে।
হলুদ: ত্বকের যেকোনো সমস্যা সমাধানে হলুদের জুড়ি নেই। এক গ্লাস পরিমাণ দুধে এক চা চামচ হলুদ দিয়ে চুলায় মাঝারি আঁচে রাখুন। ফেনা উঠে গেলে দুটি লবঙ্গ ছেড়ে নামিয়ে ফেলুন। গ্লাসে ঢেকে ঈষদুষ্ণ থাকতেই পান করুন। রোজ রাতে পান করলে ত্বক থেকে ব্রণ ও ব্রণের দাগ দুটিই মিলিয়ে যাবে।