শীর্ষবিন্দু আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ধর্মীয় স্বাধীনতার দাবিতে মাঠে নামছেন হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়ন, কিংবদন্তি মোহাম্মদ আলীর ছেলে মোহাম্মদ আলী জুনিয়র ও তার মা খালিলাহ ক্যামাচো আলী।
এ জন্য তারা ওয়াশিংটনে ছুটে গেছেন। এক মাস আগে তাদেরকে ফ্লোরিডার একটি বিমানবন্দরে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাদের কাছে জানতে চাওয়া হয় তারা মুসলিম কিনা। এ বিষয়টি নিয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে বৃহস্পতিবারই তাদের সাক্ষাত করার কথা রয়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ইউএসএ টুডে।
উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভ্রমণ বিষয়ক যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন তারা। এ জন্য তারা একটি প্রচার অভিযান চালাচ্ছেন। এর নাম দেয়া হয়েছে স্টেপ ইনটু দ্য রিং।
এতে সমর্থন দিয়েছেন বক্সিংয়ের সাবেক সুপরিচিত মুখ ইভান্ডার হলিফিল্ড, ল্যারি হোমস ও রবার্টো দুরান। তারা সরকারি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রচারণা শুরু করছেন। এক্ষেত্রে তারা হ্যাসট্যাগ ব্যবহার করছেন। এর নাম দেয়া হয়েছে #এলিভস ট্রাম্প।
উল্লেখ্য, অতীতে মোহাম্মদ আলীর প্রতি আনুগত্য দেখিয়েছেন ডনাল্ড ট্রাম্প। জুনে পারকিনসন রোগে আক্রান্ত হয়ে মোহাম্মদ আলী মারা যাওয়ার পর তাকে ‘ট্রুলি গ্রেট চ্যাম্পিয়ন’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন তিনি। ওয়াশিংটনে ন্যাশনাল মিউজিয়াম অব আফ্রিকান-আমেরিকান হিস্টোরি অ্যান্ড কালচারে সাম্প্রতিক এক সফরে আলী বিষয়ক একটি প্রদর্শনীর ইঙ্গিত দিয়েছেন ট্রাম্প।
ওদিকে সীমান্ত নিরাপত্তা বিষয়ক কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদের একটি সাব কমিটির এক ফোরামে আলী পরিবারকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ডেমোক্রেটরা। সেখানে আলী পরিবারের সদস্যরা কংগ্রেস সদস্যদের সামনে তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করবেন। একই সঙ্গে বিমান বন্দরের অনাকাঙ্খিত ঘটনার একটি আনুষ্ঠানিক শুনানির আহ্বান জানাবেন।
মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী খালিলাহ ক্যামাচো আলী বলেছেন, ভ্রমণের ক্ষেত্রে কোনো নিষেধাজ্ঞা থাকা উচিত নয়। আমি যদি এখন এ বিষয়ে কথা না বলি তাহলে তারা তো আমাদেরকে আরও হয়রানি করবে। মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী ও তার ছেলে দু’জনেরই জন্ম যুক্তরাষ্ট্রে। তারা গত ৭ই ফেব্রুয়ারি জ্যামাইকা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরছিলেন।
কিন্তু ফ্লোরিডার ফোর্ট লডারডেল-হলিউড ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে তাদেরকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ সময় তারা মুসলিম কিনা সেটা বার বার জানতে চাওয়া হয়। তারা বার বার সাবেক হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়ন মোহাম্মদ আলীর পরিবারের সদস্য পরিচয় দেয়ার পরও এমন আচরণ করা হয়।