স্বদেশ জুড়ে নিউজ ডেস্ক: প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে ক্ষমতা দিয়ে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের নতুন ফর্মুলা দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি ও বিএনপির সাবেক নেতা ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা। বর্তমান সংবিধানে থেকেই ‘নির্দলীয়’ কর্তৃত্বে ‘নিরপেক্ষ’ জাতীয় নিবার্চন সম্ভব বলে মনে করেন এক সময়ের বিএনপি সাবেক এই নেতা। মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করে নিজের এই তত্ত্বের পক্ষে যুক্তিও তুলে ধরেছেন তিনি।
তিনি ফর্মুলায় সংসদ ভেঙে দিয়ে সিইসির অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের নতুন কিছু ফর্মুলা দিয়েছেন। আজ দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নয় দফার এই ফর্মুলা দেন তিনি।
গতবছর বিএনপি থেকে পদত্যাগী হুদা তার তত্ত্বের ব্যাখ্যায় বলেন, প্রধানমন্ত্রী সংবিধানের ৪৮ (৩) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনকে পুনর্গঠন ও বর্তমান কমিশনকে পদত্যাগ করার পরামর্শ দেবেন। প্রধানমন্ত্রী সংবিধানের ৪৮ (৩) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতিকে নিবার্চন কমিশন পুনর্গঠন করার পরামর্শ দেবেন। আর রাষ্ট্রপতি দুই নেত্রীর সম্মতিতে একজন প্রধান নিবার্চন কমিশনার ও চারজন কমিশনারকে নিয়োগ দেবেন। প্রধানমন্ত্রী সংবিধানের ৫৫ (২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তার নির্বাহী ক্ষমতা নির্বাচনকালীন সময়ের জন্য সিইসির হাতে ন্যস্ত করবেন। প্রধানমন্ত্রী অনুচ্ছেদ ৭২(১)এর দ্বিতীয় শর্ত অনুযায়ী প্রেসিডেন্টকে সংসদ ভেঙে দেয়ার পরামর্শ দেবেন। সংসদ ভেঙে দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে সংবিধানের ৫৭ (১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর পদ ও ৫৮ (১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী মন্ত্রীদের পদ শূন্য হবে। প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ক্ষমতাপ্রাপ্ত সিইসি ও তার নেতৃত্বাধীন কমিশনকে নির্বাচনকালীন সরকার পরিচালনায় দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিবেন।
লিখিত বক্তব্যে হুদা বলেন, তার সরকার নিয়োগ-বদলিসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা সংক্রান্ত প্রধানমন্ত্রীর সকল দায়িত্ব ও ক্ষমতা সিইসি নির্বাহ করবেন। কমিশন অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন হিসেবে সরকার পরিচালনার কাজ করবেন। সংবিধানের ১২৩ (৩) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন সংসদ ভেঙে দেয়ার তারিখ হতে ৯০ দিনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান করবেন। নির্বাচনের পর নির্বাচিত জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে স্পিকার নির্বাচিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনকালীন অতিরিক্ত দায়িত্বের মেয়াদ শেষ হবে।
ব্যারিস্টার হুদা বলেন, দুই নেতৃত্বাধীন দুই জোটের এ বিষয়ে সংলাপ এখন সময়ের দাবি। জাতির প্রত্যাশা এ সংলাপ দেশকে অবিশ্যম্ভাবী দুর্যোগের হাত থেকে রক্ষা করতে পারে। নিশ্চিত হতে পারে নির্বাচনকালীন এক শান্তিপূর্ণ পরিবেশ। এর জন্য প্রয়োজন সংলাপ।
বিএনপির প্রতীক নিয়ে আগামী নির্বাচনে জয়ী হওয়ার আশার কথাও সাংবাদিকদের বলেন তিনি। এখন বিএনপির হয়ে এই সংবাদ সম্মেলন করছেন কিনা জানতে চাইলে হুদা বলেন, সুপ্রীম কোর্ট বার সমিতির সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে এ সম্মেলন করছি, বিএনপির নেতা হিসেবে নয়।
Leave a Reply