শীর্ষবিন্দু আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সংশোধিত সফর নিষেধাজ্ঞা প্রথম আইনি বাধার সম্মুখীন হলো। যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় আবেদন মঞ্জুর হওয়া এক সিরিয় নারী ও তার সন্তানের দেশটিতে প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ স্থগিত করেছেন উসকনসিনের এক বিচারক।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, সাময়িক এই স্থগিতাদের দিয়েছেন ইউএস ডিস্ট্রিক্ট জজ উইলিয়াম কনলি। এটা শুধুমাত্র সিরিয় ওই শরণার্থী পরিবারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। সিরিয় এক শরণার্থী তার স্ত্রী ও সন্তানের পরিচয় রক্ষার স্বার্থে গোপনে এই মামলাটি দাখিল করেছিলেন। তার স্ত্রী ও মেয়ে এখন যুদ্ধকবলিত সিরিয়ার আলেপ্পোতে রয়েছে।
খবরে বলা হয়, ট্রাম্পের নতুন সংশোধিত নির্বাহী আদেশের বিরুদ্ধে একাধিক আইন চ্যালেঞ্জের মধ্যে এটাই প্রথম আদালতের আদেশ। ৬ই মার্চ ইস্যু করা নতুন নির্বাহী নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে ১৬ই মার্চ থেকে। তার আগ দিয়ে ওই শরণার্থী পরিবারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ না করার সিদ্ধান্ত দিলেন আদালত।
উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যের ফেডারেল কোর্টের শীর্ষ বিচারক কনলি এ সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে, বাদীর পরিবারকে সিরিয়ায় থাকতে বাধ্য করা হলে তারা ‘অপূরনীয় ক্ষতির বড় ধরণের ঝুঁকির মুখে’ পড়ে যাবে।
আদালতে মামলা করা সিরিয় একজন সুন্নি মুসলিম। মামলায় তার বিবরণ মোতাবেক, আলেপ্পোতে সিরিয় সরকারের সঙ্গে লড়াইরত বিরোধী সামরিক শক্তির হাতে ‘প্রায়-নিশ্চিত মৃত্যু থেকে পালিয়ে’ তিনি যুক্তরাষ্ট্রে এসেছেন ২০১৪ সালে।
এরপরই তিনি তার স্ত্রী ও একমাত্র কন্যা সন্তানের আশ্রয়ের আবেদন করেন। তাদের আবেদন অতীত যাচাই বাছাইয়ের নিরাপত্তা প্রক্রিয়া পার করেছে। তা চুড়ান্ত অনুমোদনের জন্য অপেক্ষমান ছিল। এরপরই ২৭শে জানুয়ারি ট্রাম্পের প্রথম সফর নিষেধাজ্ঞায় তা থমকে যায়।
উল্লেখ্য, প্রথম নিষেধাজ্ঞায় ৭ টি মুসলিম প্রধান দেশÑ ইরান, ইরাক, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান, সিরিয়া ও ইয়েমেনর নাগরিকদের ১২০ দিনের জন্য এবং সকল শরণার্থীকে অনির্দিষ্টকালের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়।
ফেডারেল আদালতের রায়ে ওই নিষেধাজ্ঞা স্থগিত হয়ে যায়। এরপর গেল সপ্তাহে আসে সংশোধিত নতুন নিষেধাজ্ঞা। এতে আগের তালিকা থেকে বাদ রাখা হয় ইরাককে।