শীর্ষবিন্দু আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক: ভিআইপি অতিথিদের সফর নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ছে নয়া দিল্লি। মার্চ ও এপ্রিলে সেখানে কমপক্ষে তিনটি দেশের প্রধানমন্ত্রীর সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে। তারা হলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক ও অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল।
আগামী কয়েক সপ্তাহ তাদের নয়াদিল্লি যাওয়া ও বিদায় জানানো নিয়ে ব্যস্ত থাকবে ভারত সরকার। এ জন্য প্রস্তুতি চলছে। অনলাইন দ্য হিন্দু’তে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ কথা লিখেছেন সুহাসিনী হায়দার।
তিনি লিখেছেন, আগামী ৭-১০ই এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর করার কথা রয়েছে। তার এ সফর বহু প্রতিক্ষিত। ‘শিডিউলিং ডিফিকাল্টিজ’ এর কারণে এ সফর দু’বার স্থগিত হয়েছে। একবার ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে। আরেকবার এ বছর ফেব্রুয়ারিতে।
তিনি চেয়েছেন পানি বণ্টন নিয়ে বাস্তব চুক্তি (সাবসট্যানটিভ এগ্রিমেন্ট)। তবে তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে কোনো বড় ধরনের সাফল্য আসবে কিনা সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারছেন না কর্মকর্তারা। অন্যদিকে এ চুক্তিতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
গঙ্গা ব্যারেজ চুক্তির বিরোধিতা করছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিক কুমার। ভারতের সরকারি পর্যায়ের কর্মকর্তারা নিশ্বিগ করেছেন যে, সৌদি আরবের বাদশা সালমান বিন আবদুল আজিজের ভারত সফর নিয়ে আলোচনা চলছে। কিন্তু সৌদি আরবের বাদশা এ মাসে তার এশিয়া সফর গুটিয়ে নিচ্ছেন।
ফলে তার ভারত সফর হতে পারে বছরের শেষের দিকে কোনো এক সময়। বাদশা সালমান এশিয়ার সাত দেশ সফরের শুরুতে এর আগে ভারতের কাছে প্রস্তাব করেছিলেন ফেব্রুয়ারিতে। কিন্তু ৫টি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের কারণে তারিখ নিশ্চিত করতে পারে নি নয়া দিল্লি। এখন এপ্রিল মাসে সম্ভাব্য সফর নিয়ে আলোচনা চলছে।
কিন্তু দু’দেশেরই কূটনীতিকরা নিশ্চিত করেছেন, সৌদি আরবের বাদশা সালমান ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আগামী কয়েকটি মাসে ব্যস্ত শিডিউলের মধ্যে থাকবেন। তাই সৌদি বাদশার সফর অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত করা হতে পারে।
ওদিকে ৩০শে মার্চ দিল্লি যাওয়ার কথা রয়েছে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের। তিনি সেখানে থাকবেন ৪ঠা এপ্রিল পর্যন্ত। নরেন্দ্র মোদি কুয়ালালামপুর সফরের দুই বছর পর এ সফরে আসছেন তিনি। নাজিব রাজাক এর আগে ২০১০ সালের জানুয়ারিতে ভারত সফর করেছেন।
তখন দু’দেশ স্বাক্ষর করেছে স্ট্রাটেজিক পার্টনারশিপ চুক্তি। ওদিকে এপ্রিলের প্রথম অর্ধাংশে ভারত আসার কথা রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুলের। দু’দেশই চাইছে মুক্ত বাণিজ্য বা কমপ্রিহেনসিভ ইকোনমিক কো-অপারেশন এগ্রিমেন্ট।