শরীর স্বাস্থ্য ডেস্ক: নতুন একটি ওষুধে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কাটিয়ে হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাবে বলে দাবি করেছেন গবেষকরা।
গবেষণায় দেখা গেছে, ২৭ হাজার রোগীর শরীরে ওই নতুন ওষুধ ইভোলকুম (evolocumab) প্রয়োগ করা হয়। এদের প্রায় ৬০% রোগীর রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কেটে যায়।
গবেষণায় দেখা যায়, যে রোগীদের ইভোলকুমেব (evolocumab) ইনজেকশান দেওয়া হয়, কেবল তাদের শরীরে খারাপ কলেস্টেরলের মাত্রা কমে এবং এদের হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি হ্রাস পায়।
যে রোগীরা ওই ওষুধ দুই বছর গ্রহণ করেছেন তাদের মধ্যে ৭৫ জনের হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের মতো মরণব্যাধি প্রতিরোধ সম্ভব হয়েছে। এই ওষুধে কার্ডিওভাসকুলার মৃত্যুর হারও কমে আসে।
নিউ ইংল্যান্ড জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় এমনটাই জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজ অধ্যাপক পিটার সেভার বলেন, কলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে স্টয়াটিন (statin) ট্রায়াল অনেক আগেই গুরুত্ব পায়। এমনটা ২০ বছর আগেও বলা হয়েছিল।
তবে নতুন এই ওষুধটি ব্যবহারে কোলেস্টেরলের মাত্রা নাটকীয়ভাবে কমে যাবে, যা অনেক মানুষের হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমিয়ে দেবে বলে মনে করা হচ্ছে।
ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশনের চিকিৎসা পরিচালক প্রফেসর নিলেশের সামানি বলেন, ইউরোপে বৃহত্তম হত্যাকারী ব্যাধি হলো হৃদরোগ। আর এটা হয় শুধুমাত্র খারাপ এলডিএল-কোলেস্টেরলের কারণে হয়।
তিনি বলেন, যদিও লাখ লাখ মানুষের রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ ও হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে স্টয়াটিন। তবে এটা কয়েকজনই সহ্য করার ক্ষমতা রাখেন।
প্রতিশ্রুতিশীল নতুন এ পদ্ধতিটি পিসিএস৯ (PCSK9) ক্রিয়া করে এবং এর অণু যা যকৃতে এলডিএল-কোলেস্টেরলের ভাঙন কমায়। এতেই প্রমাণিত হয় যে, উচ্চ কোলেস্টেরল স্টয়াটিন রোগীদের জন্য জীবনরক্ষক নতুন চিকিৎসা।