শীর্ষবিন্দু নিউজ ডেস্ক: সিলেট মহানগরীর দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ি এলাকার জঙ্গি আস্তানা আতিয়া মহলে বিস্ফোরক শনাক্ত ও নিষ্ক্রিয় করতে ড্রোনের ব্যবহার করছে সেনাবাহিনী। ড্রোনের সাহায্যে মঙ্গলবার আতিয়া মহলের ভেতরের ছবি তোলা হয়।
সেগুলো দেখে বিস্ফোরক শনাক্ত এবং নিষ্ক্রিয় করার প্রক্রিয়া চলছে। অভিযান সংশ্লিষ্ট সেনাবাহিনীর একটি দায়িত্বশীল সূত্র একথা জানিয়েছে।
ওই সূত্র আরও জানায়, সেনাবাহিনীর নিজস্ব ড্রোন থাকলেও তারা সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বানানো ড্রোন এ কাজে ব্যবহার করছে। বাড়ির ভেতরে কোথায় বিস্ফোরক রয়েছে তা খুঁজে বের করতে এবং শনাক্ত করতে ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে। ড্রোন ছাড়াও বিস্ফোরক শনাক্ত করতে অন্য প্রযুক্তির ব্যবহার করা হচ্ছে।
সেনাবাহিনী আগেই জানিয়েছে, বাড়িতে প্রচুর পরিমাণে বিস্ফোরক রয়েছে। তাই তাদের সাবধানে অভিযান চালাতে গিয়ে সময় বেশি লাগছে।
এদিকে, পঞ্চম দিনের আতিয়া মহলে অভিযান অব্যাহত রেখেছেন সেনাবাহিনীর কমান্ডো টিম। এখন পর্যন্ত সেখান থেকে চারটি বিস্ফোরকের শব্দ শোনা গেছে। সোমবার রাতে সংবাদ সম্মেলন করে সেনাবাহিনী জানায়, তাদের অভিযানে এক নারীসহ চার জঙ্গি নিহত হয়েছে। জঙ্গি আস্তানায় আর কোনও জীবিত জঙ্গি নেই।
পুরো ভবনটা যে অবস্থায় আছে সেটা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফখরুল আহসান বলেন, ‘সেজন্য সতর্কতার সঙ্গে এগোতে হচ্ছে। যে চারজন এখানে ছিল, তারা বেশ ভালো প্রশিক্ষিত। তাদের খুঁজে বের করে মারা হয়েছে। এটা কিন্তু বিশেষ করে সেনাবাহিনীর জন্য একটা বড় সফলতা বলে মনে করি। আমাদের অভিযান এখনও চলমান আছে। আরও হয়তো কিছু সময় লাগতে পারে। ’
বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) মধ্যরাতে আতিয়া মহলের নিচতলায় জঙ্গিরা অবস্থান করছে বলে জানতে পারে ঢাকার কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। শুক্রবার (২৪ মার্চ) সকাল ৮টার দিকে ওই বাড়ির ভেতর থেকে গ্রেনেড ছোড়া হয়। পরে ঢাকা থেকে পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট সোয়াতকে পাঠানো হয় ঘটনাস্থলে।
তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সন্ধ্যা থেকে পুরো এলাকার নিয়ন্ত্রণে নেয় সেনাবাহিনীর প্যারা-কমান্ডো দল। পরদিন তারা ওই ভবনের অন্যান্য বাসিন্দাকে নিরাপদে সরিয়ে আনে।
২৫ মার্চ সন্ধ্যায় অভিযান নিয়ে সেনবাহিনীর সংবাদ সম্মেলন চলাকালে দুই দফা বিস্ফোরণে দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ ছয় জন নিহত হন। আহত হয়েছেন র্যাবের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধানসহ অন্তত ৫০ জন।