ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ তার কম্পিউটারের পর্দা থেকে নেমে এসে রাজনৈতিক বিষয়ে কথা বলছেন। প্রথমবারের মতো তিনি অভিবাসন সংস্কারের সপক্ষে প্রকাশ্যে কথা বলেছেন গত ৫ই আগষ্ট৷ এই বিষয়টি নিয়ে তিনি বিগত বেশ কয়েক মাস যাবৎ কাজ করে আসছেন বলে জানা গেছে।
রিডিও ডায়াচে ভেলে জানিয়েছে, ১৯ বছর বয়সে মার্ক জুকারবার্গ অভিজাত হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা ছেয়ে দিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন সামাজিক যোগাযোগের সাইট ফেইসবুক। যা তাকে স্বউদ্যোগী বিলিয়নিয়ার বানিয়ে দিয়েছে কয়েক বছরে। ২৯ বছর বয়সি এই ধনকুবের স্যান ফ্রান্সিসকোতে অভিবাসন সংস্কার সম্পর্কে তাঁর মন্তব্য প্রকাশ করেছেন৷ এই সংস্কার দেশের ভবিষ্যতের জন্য সত্যিই একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলে মনে করেন জুকারবার্গ।
জুকারবার্গ এবং তার প্রাক্তন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘রুমমেট’ জো গ্রিন সম্প্রতি গঠন করেছেন এফডাব্লিউডি ডট ইউএস নামে একটি প্রতিষ্ঠান। যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসরত প্রায় ১ কোটি ১০ লক্ষ অভিবাসির জন্য নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য কাজ করবে। স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে একটি স্কুলে বাণিজ্যিক বিভাগে ক্লাস নেয়ার সময়ই মার্ক প্রথম ইমিগ্রেশন সিস্টেম পরিবর্তনে প্রয়োজনীয়তা নিয়ে সচেতন হয়ে ওঠেন। অর্থনৈতিক সাফল্যের পর থেকেই মার্ক সমাজসেবায় নিয়োজিত। ২০১০ সালে নিউইয়র্কের নেটওয়ার্ক পাবলিক স্কুল সিস্টেমের পুনঃসংস্কার ও উন্নতিসাধনে ১০ কোটি ডলার সাহায্য করেছেন৷
এ বছরই তিনি তার জীবদ্দশায় তার সম্পদের অন্তত ৫০ শতাংশ দাতব্য কাজের জন্য দানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ‘অঙ্গীকারণামায়’ স্বাক্ষর করেন। তার এই ‘অঙ্গীকারনামায়’ অন্যান্যেও মধ্যে বিল গেটস, ওয়ারেন বাফেট এবং জর্জ লুকাসও রয়েছেন।
Leave a Reply