শীর্ষবিন্দু আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক: বের হয়ে যাচ্ছেন ট্রাম্পগত শুক্রবার (৩১ মার্চ) এর ঘটনা। হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সামনেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিদেশি বাণিজ্যসংক্রান্ত দুটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করার কথা ছিল।
সে অনুযায়ী সাংবাদিকদের সামনে হাজিরও হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সাংবাদিকদের সামনে স্বাক্ষর না করেই সেখান থেকে বের হয়ে যান ট্রাম্প। পরে একটি রুদ্ধদ্বার কক্ষেই নাকি ওই দুটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। কিন্তু কেন?
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করতে আসার পর হোয়াইট হাউসের সাংবাদিকরা ট্রাম্পকে তার প্রশাসনের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিনের ব্যাপারে প্রশ্ন করেন।
সম্প্রতি বিচার থেকে দায়মুক্তির শর্তে মার্কিন নির্বাচনে রুশ সংযোগ নিয়ে সাক্ষ্য দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন ফ্লিন। সেই ফ্লিনকে নিয়ে প্রশ্ন করার পর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তা এড়িয়ে যান। হেঁটে অন্য কক্ষে চলে যান তিনি।
ট্রাম্পের পেছন পেছন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সও চলে যান। পেন্সের হাতে দুটি নির্বাহী আদেশের কাগজপত্র ভাঁজ করা ছিল।পরে ট্রাম্প ওই দুটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন ঠিকই কিন্তু তা করা হয় একটি দরজাবন্ধ কক্ষে।
একটি নির্বাহী আদেশে বৈদেশিক বাণিজ্য ঘাটতির কারণ অনুসন্ধান করতে অপরিশোধিত শুল্ক খতিয়ে দেখতে একটি গবেষণার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অপর আদেশে বৈদেশিক বাণিজ্য ঘাটতি ও কোনও আইনে মার্কিন শ্রমিকদের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হচ্ছে কিনা,তা পর্যালোচনা করতে বলা হয়েছে।
মার্কিন কর্মকর্তারা অবশ্য জানিয়েছেন, চীনের জন্য এই নির্বাহী আদেশ দেওয়া হয়নি। তবে চীনের কারণেই যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে বেশি বাণিজ্য বৈষম্যের শিকার হচ্ছে বলেও তারা উল্লেখ করেন। সামনের সপ্তাহে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করতে যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন।
তার আগেই এসব আদেশ জারি করা হলো। অন্যদিকে, ফ্লিন হলেন ট্রাম্প প্রশাসনের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে রুশ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কথোপকথনের জের ধরে হোয়াইট হাউসের দায়িত্ব অবহেলার অজুহাত দেখিয়ে ফ্লিনকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়।
এরপর থেকেই রাশিয়ার সঙ্গে তার সংশ্লিষ্টতা নিয়ে তদন্তে নামে এফবিআই ও সিনেট ইন্টেলিজেন্স কমিটি। ফ্লিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ওবামা আমলে রাশিয়ার ওপর আরোপ করা নিষেধাজ্ঞা সরানোর বিষয়ে রুশ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে তিনি ট্রাম্পের দায়িত্বগ্রহণের আগেই আলোচনা করেছিলেন। ফ্লিন তা করে থাকলে তবে তা হবে আইনের লঙ্ঘন।
কেননা আইন অনুযায়ী, বেসরকারি নাগরিকদের পররাষ্ট্র নীতিমালাসংক্রান্ত কাজে জড়িত হওয়া নিষিদ্ধ। পদত্যাগপত্রে ফ্লিন বলেছিলেন,তিনি অসাবধানতাবশতঃ তৎকালীন নির্বাচিত ভাইস-প্রেসিডেন্টকে আংশিকভাবে রুশ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে তার কথোপকথন সম্পর্কে জানিয়েছিলেন।