শীর্ষবিন্দু নিউজ: এখন থেকে মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা, কবরস্থান, শ্মশানের জায়গা জনস্বার্থে অধিগ্রহণ করা যাবে। প্রয়োজনে রাস্তার ওপর থেকে ধর্মীয় উপাসনালয় অপসারণ করা যাবে। এমন বিধান রেখে স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুম দখল আইন, ২০১৭ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও সরকারিভাবে জমি অধিগ্রহণে ক্ষতিপূরণের পরিমাণ জমির দামের তিন গুণ এবং বেসরকারিভাবে জমি অধিগ্রহণে ক্ষতিপূরণের পরিমাণ চার গুণ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে নতুন আইনে। ক্ষতিপূরণ দিতে আইন অনুযায়ী বিগত বছরের ১২ মাসে একই মৌজায় একই শ্রেণির জমি কেনাবেচার দামের গড় করে অধিগ্রহণ করা জমির দাম নির্ধারণ করা হবে।
সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ আইন অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন আগে সরকার ধর্মীয় উপাসনালয়, যেমন: মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা, কবরস্থান, শ্মশানের ভূমি অধিগ্রহণ করতে পারত না। এখনো সাধারণভাবে সে বিধানই আছে। কিন্তু নতুন আইনে এই বিধানে সংশোধনী আনা হয়েছে। এতে শর্ত জুড়ে দিয়ে বলা হয়েছে, জনপ্রয়োজনে কিংবা জনস্বার্থে একান্ত অপরিহার্য হলে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ব্যক্তি বা সংস্থার অর্থে স্থানান্তর ও পুনর্নির্মাণ সাপেক্ষে সম্পত্তি অধিগ্রহণ করা যাবে।
তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, যেমন: রাস্তার ওপর একটা মসজিদ পড়ে গেল, অপসারণ না করলে রাস্তা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, তখন এটাকে সরিয়ে স্থানান্তর করে মসজিদ পুনর্নির্মাণ করে রাস্তাটা করা যাবে।
শফিউল আলম বলেন, এতদিন জমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হতো ১৯৮২ সালের একটি অধ্যাদেশ অনুসরণ করে। সামরিক শাসনের সময় জারি করা ওই অধ্যাদেশ উচ্চ আদালতের নির্দেশে বাংলা করে নতুন করে আইন করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও জনস্বার্থে সরকার চাইলে ভূমি অধিগ্রহণ করতে পারে। কিন্তু ক্ষতিপূরণ বেশি দিতে হবে চার গুণ। জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে আগের চেয়ে ক্ষতিপূরণ দেড় গুণ থেকে বাড়িয়ে তিন গুণ করা হচ্ছে বলেও জানান সচিব।
নতুন আইনে যুগ্ম জেলা জজ কিংবা সাব-জজ পর্যায়ের কর্মকর্তাকে আরবিট্রেটর পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। তবে আপিলে থাকবেন জেলা জজ পর্যায়ের কর্মকর্তা। আগে অতিরিক্ত জেলা বা দায়রা জজ পর্যায়ের কর্মকর্তাকে আরবিট্রেটর নিয়োগ দেওয়া হতো।