প্রথম ম্যাচে মাত্র ৯৯ রান করে চট্টগ্রাম কিংসকে হারিয়ে দিলেও রোববার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) সিলেট রয়্যালসের বিপক্ষে ১৪৭ করেও ৪ উইকেটে হেরে গেছে দুরন্ত রাজশাহী। সিলেটের এটি টানা দ্বিতীয় জয়। অন্য দিকে রাজশাহীর প্রথম হার।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেটে ১৪৭ রান করে রাজশাহী প্রথমে। জবাবে ১৯ ওভার ১ বলে ৬ উইকেটে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় সিলেট রয়্যালস। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে রানের খাতা খোলার আগেই মমিনুল হকের বিদায়ে সিলেট শুরুতেই ধাক্কা খায়।এরপর মুশফিকুর রহিম ২২, পল স্টারলিং ১৪ ও হ্যামিল্টন মাসাকাদজা ১৬ রান করলেও ৮০ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে যায় সিলেট।সপ্তম উইকেটে নাজমুল মিলনের (২২ বলে ৩৪) সঙ্গে এল্টন চিগুম্বুরার ৭০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি শেষ পর্যন্ত সিলেটের সহজ জয় নিশ্চিত করে। আবুল হাসানের করা উনিশতম ওভারের তৃতীয় বলে ক্যাচ দিয়েও ‘নো’ বলের কল্যাণে নাজমুল বেঁচে না গেলে খেলার ফলাফল ন্যরকমও হতে পারতো।
শেষ পযন্ত ৪৩ রানে অপরাজিত থাকেন চিগুম্বুরা। তার ২১ বলের ইনিংসে ৩টি ছক্কা ও ৪টি চার। রাজশাহীর পক্ষে নাঈম ইসলাম জুনিয়র ও তাইজুল ইসলাম দুটি করে উইকেট নেন। এর আগে ব্যাট করতে নেমে রাজশাহীর শুরুটা মোটেই ভালো হয়নি। প্রথম বলেই অধিনায়ক তামিম ইকবালকে দারুণ এক ফিরতী ক্যাচে ফিরিয়ে দিয়ে রাজশাহীকে চাপে ফেলেন সোহাগ গাজী। পরের ওভারে অন্য উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান মুক্তার আলীকে মুশফিকের ক্যাচে পরিণত করে রাজশাহীর বিপদ আরো বাড়ান এই অফস্পিনার।৯ রানেই দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান বিদায় নিলেও তৃতীয় উইকেটে মঈন আলীর (৩৫ বলে ২৪) সঙ্গে জহুরুল ইসলামের ৬৩ রানের জুটির সৌজন্যে স্বস্তি ফেরে রাজশাহী শিবিরে। চিগুম্বুরার বলে মাসাকাদজার দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত হয়ে মঈনের বিদায়ের পর জিয়াউর রহমানের (২১) সঙ্গে ৩৬ ও শন আর্ভিনের (১৫) সঙ্গে ২২ রানে দুটি ছোট্ট কিন্তু কার্যকর জুটি উপহার দেন জহুরুল। উনিশতম ওভারের প্রথম বলে স্টারলিংয়ের হাতে ধরা পড়ে চিগুম্বুরার দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হওয়ার আগে ৫০ রান করেন জহুরুল। তার ৩৮ বলের ইনিংসে ৫টি চার ও ১টি ছক্কা। দলীয় ১৩২ রানে জহুরুল ও এক রান পর হাসানের (০) বিদায়ে অস্বস্তিতে পড়লেও ফরহাদ হোসেনের অপরাজিত ১১ রান দলকে দেড়শ রানের কাছাকাছি নিয়ে যায়। ২১ রানে ৩ উইকেট নিয়ে সিলেটের সেরা বোলার চিগুম্বুরা। সোহাগ ২ উইকেট নেন ৩৩ রানে।
Leave a Reply