সুমন আহমদ: ব্রিটেনের রাজপ্রাসাদের প্রাচীর টপকে নিরাপত্তারক্ষীদের চোখে ধুলো দিয়ে সোমবার রাতে এক ব্যক্তি ঢুকে পড়েন বাকিংহাম প্রাসাদে। অবশ্য পুলিশ ঔই ব্যক্তি ও বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা তাঁর এক সহযোগীকে গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে তাঁরা দু’জনই জামিন পেয়েছেন। এ খবর প্রকাশ পেলে ব্যাপক লোক সমাগম হয় প্রাসাদের বাইরে।
রানীর বাসভবন এই বাকিংহাম প্যালেসেই একই সঙ্গে ব্রিটিশ রাজপরিবারের ও প্রশাসনিক দফতর থাকায় নিরাপত্তার বেড়া টপকে এই প্রাসাদে ঢোকা মোটেই সহজ কাজ নয়। লন্ডন পুলিশের ধারনা মতে, পর্যটক হিসেবে হয়তো কোন এক সময় লুকিয়ে বসে থাকতে পারেন এই আগ্রহ প্রবণ ব্যাক্তি। এর আগে এ রকম ঘটনা ঘটেছিল সেই ১৯৮২ সালে। প্রায় বছর তিরিশের মাইকেল ফেগান সে বার ঢুকে পড়েছিলেন রানীর শোবার ঘরে। ঘুম ভেঙে হঠাৎই রানীর নজরে পড়ে এক অচেনা যুবক বসে আছেন তাঁরই খাটে। রানী মোটেও এতে বিচলিত না হয়ে বিপদঘণ্টা বাজিয়ে রক্ষীকে ডাকতে ডাকতে প্রায় দশ মিনিট রানির সঙ্গে দিব্যি খোসগল্প জুড়ে দিয়েছিলেন ফেগান। পরে অবশ্য ধরা পড়েন তিনি। তবে এ যাত্রায় গোল এতটাও বাধেনি।
মেট্রোপলিটন পুলিশ জানিয়েছে, প্রাসাদের একটা অংশ কিছু দিন আগেই পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল। দিনের বেলা তা ঘুরে দেখতে পারবেন দর্শকরা। সোমবার রাত ১০টা ২০ মিনিট নাগাদ ওখানেই লুকিয়ে ঢুকে পড়েন এক ব্যক্তি। সে সময় রাজ পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে ছিলেন না কেউই। আগস্ট মাসেই বালমোরাল ক্যাসেলে ছুটি কাটাতে গিয়েছেন রানী এলিজাভেত। অক্টোবরের আগে বাকিংহামে ফিরছেন না তিনি।
সেন্ট্রাল লন্ডনের অবস্থিত এই বিশালাকার রাজপ্রাসাদে পুরনো ছবি, ভাস্কর্য, দামি আসবাবে ঠাসা। সে সবের লোভেই এ বার চোরের আগমন কি না, তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। ধৃত দু’জনের বিরুদ্ধে বিনা অনুমতিতে ঢুকে পড়া, সম্পত্তি নষ্ট ও চুরির অভিযোগ এনেছে পুলিশ। অবশ্য এখন পর্যন্ত কোন প্রমাণ আনতে পারিনি। তবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে নেহায়েত শখের এই ব্যাক্তি প্রাসাদে অনুপ্রবেশ করেছেন কি না।