সামাজিক যোগাযোগের সাইট ফেসবুকে কুরআন অবমাননার ছবি ট্যাগের প্রতিবাদে কক্সবাজারের রামু উপজেলার কয়েকটি বৌদ্ধ মন্দির ও ২০টি বসতবাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় প্রশাসন রামুতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সাংবাদিকরা জানান, রামুর বড়ুয়াপাড়ার উত্তমকুমার বড়ুয়া নামের এক উগ্র বৌদ্ধ যুবক তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ‘কুরআনের ওপর মহিলার দু’টি পা’ দেয়া একটি ছবি ট্যাগ করে। এছাড়া, আল্লাহু শব্দের বিকৃতি ও পবিত্র কাবা শরিফের ছবিতে ‘কেউ নামাজ পড়ছেন, কেউ পূজা করছেন’ এমন কয়েকটি ছবি ট্যাগ করে। এ ঘটনার খবর সাধারণ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার পর গতকাল শনিবার রাত ১১টার দিকে শত শত মানুষ উপজেলা পরিষদের পাশে চৌমুহনীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ শুরু করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও হাজার হাজার মানুষ লাঠিসোঁটা নিয়ে ঘটনাস্থলে জড়ো হওয়ায় পুলিশ পিছু হটতে বাধ্য হয়। এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কক্সবাজার শহর থেকে অতিরিক্ত দাঙ্গা পুলিশ ও র্যাবও মাঠে নামে। এ সময় রামু থানার পুলিশ উত্তমকুমার বড়ুয়া ও তাঁর মাকে নিরাপত্তা হেফাজতে নিয়ে যায়।
রাত সাড়ে ১২টার দিকে ক্ষুব্ধ জনতা রামুর চেরাংঘাটা সড়কের মৈত্রী বিহারে আগুন ধরিয়ে দেয়। এরপর বড়ক্যাং বৌদ্ধ বিহার ও কেন্দ্রীয় সীমা বিহারসহ কয়েকটি বিহারে অগ্নিসংযোগ করা হয়। রাত দেড়টার দিকে বিজিবি ও রাত দুইটার পর সেনাবাহিনী আসায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে।
রাত চারটার দিকে ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন ও পুলিশ সুপার সেলিম মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর ঘটনাস্থলে যান। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বাবুল আকতার জানিয়েছেন, সম্ভাব্য অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে রোববার সকাল সাতটা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য রামু সদর ও আশপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
Leave a Reply