সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পঙ্কজ পুরকায়স্থকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। প্রকৌশলী নজরুল হাকিমকে লাঞ্ছিত করে টাকা লোট, টেন্ডারবক্স ছিনতাই, ভূমি দখল ও গরীবদু:খী মানুষের উপর অত্যাচার, নিজের ফায়দা নিবারনে সরকারী কমকতাদের হয়রানীর সহ আরো বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতে কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে তাকে অব্যাহতি প্রদান করে সিনিয়র সহ সভাপতি হিরণ মাহমুদ নিপুকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দেন।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের যুগ্মসম্পাদক মুস্তাক আহমদকে আহবায়ক করে তিন সদস্যের একটি তদন্তে গঠন করা হয়েছে। অভিযোগের সত্যতা পেলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠন কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানা গেছে। পঙ্কজের বিরুদ্ধে টিলাগড়ে গোপাল জিউর আখড়ার ভূমি দখলের অভিযোগ রয়েছে। গত রোববার এমসি কলেজে অধ্যক্ষ কার্যালয়ে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের প্রকৌশলী মো. নজরুল হাকিমকে লাঞ্ছিত করেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পঙ্কজ পুরকায়স্থ।
কলেজের একটি প্রশাসনিক ভবনের সংস্কার কাজ পায় পঙ্কজের মালিকানাধীন জবা কন্সট্রাকশন। কাজ সম্পন্ন না করেই তিনি প্রকৌশলীর কাছে পুরো বিল দাবি করেন। প্রকৌশলী নজরুল হাকিম পুরো বিল দিতে অপরাগতা প্রকাশ করলে এমসি কলেজের অধ্যক্ষের সামনে তাকে লাঞ্ছিত করেন পঙ্কজ। মঙ্গলবার বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদটি প্রকাশিত হলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ পঙ্কজকে বহিস্কারের সিদ্বান্ত নেয়।
গত বছরের ৮ জুলাই ছাত্রলীগ ও শিবিরের দুই কর্মীর মারামারিকে কেন্দ্র করে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে বিভিন্ন তদন্তে ছাত্রাবাসে আগুন দেওয়ার জন্য ছাত্রলীগ টিলাগড় গ্রুপকে দায়ী করা হয়। এতে পঙ্কজ পুরকায়স্থ নেতৃত্ব দেন বলে তার অপর বিরোধী পক্ষ ছাত্রলীগ মিডিয়ার কাছে স্বীকার করে। ওই দিনই টিলাগড়ে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় রাফি আহমদ ও যুবলীগ নেতা আসাদুজ্জামান আসাদ বাদী হয়ে পঙ্কজ পুরকায়স্থসহ ৪০ জনকে আসামি করে পৃথক মামলা দায়ের করেন।
এছাড়া পুলিশকে মারধর, এমসি কলেজের গাছ ও মহিলা হোস্টেলের মাছ বিক্রির অভিযোগ রয়েছে। টিলাগড়সহ নগরীর বিভিন্ন এলাকায় জায়গা দখল, টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ ও টাকার বিনিময়ে কমিটি দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
Leave a Reply