শীর্ষবিন্দু নিউজ: নগরীর জিন্দাবাজারের স্বর্ণের মার্কেট নামে খ্যাত নেহার মার্কেটে ডাকাতির ঘটনায় মানিক মিয়া (৪০) নামের যুবলীগের এক নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে এ ঘটনায় গ্রেফতারে সংখ্যা ৫ জনে দাঁড়ালো।। গ্রেফতার হওয়া অন্য ৪ জনকে দুদিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
ডাকাতির ঘটনায় সোমবার বিকেল ৩টা ৩৬ মিনিটের সময় সোনারপাড়ার নিজ দোকানের সামনে থেকে যুবলীগ নেতা মানিক মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি মহানগর যুবলীগের ১৯ নং ওয়ার্ড শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক ও নগরীর সোনারপাড়া এলাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। গ্রেফতারকৃত মানিক শহরতলীর পীরেরবাজারের উত্তর মোকামেরগুলের মৃত সোনা মিয়ার পুত্র।
কোতোয়ালী থানার ও.সি ও ডাকাতির মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আহমেদ নাসির উদ্দিন মোহাম্মদ গতরাত ১১টায় সিলেটের ডাককে জানিয়েছেন, সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমানের ভিত্তিতেই মানিক মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। মানিক ডাকাতির ঘটনায় সরাসরি জড়িত। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে পুরো ডাকাতির ঘটনার ক্লু বেরিয়ে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। এ নিয়ে নেহার মার্কেটে ডাকাতির ঘটনার মামলায় ৫ জনকে গ্রেফতার করা হলো বলে তিনি জানিয়েছেন।
কোতোয়ালী থানার ওসি’র ভাষ্যমতে, প্রাথমিক তদন্তে নিশ্চিত হওয়া গেছে মঙ্গলবার গ্রেফতার হওয়া মানিক মিয়া ডাকাতির ঘটনায় সরাসরি জড়িত। তবে মানিকের পরিবার ও যুবলীগের একাধিক নেতা দাবী করেছেন, মানিক মিয়া নির্দোষ। তার বিরুদ্ধে অতীতে কোনো মামলা নেই। ঘটনার মূল হোতাদের ধরতে ব্যর্থ হয়ে পুলিশ মানিককে দিয়ে আরেক ‘জজ মিয়া নাটক’ মঞ্চায়নের চেষ্টা করছে। এ ঘটনায় ইতোপূর্বে গ্রেফতারকৃত হেরোইন কবিরসহ ৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রিমান্ড মঞ্জুরের পর বিকেলেই অভিযুক্ত চার জনকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ডাকাতির ঘটনায় ইতোপূর্বে গ্রেফরতারকৃত চিহ্নিত অপরাধী হেরোইন কবির, কালা নাহিদ, ফোকড়া জলিল ও ওমর আলীকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পুলিশের করা রিমান্ড আবেদনের উপর শুনানী মঙ্গলবার দুপুরে সিলেটের চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এবিএম জহিরুল গণি চৌধুরীর আদালতে অনুষ্ঠিত হয়। আসামীদের উপস্থিতিতে শুনানী শেষে আদালত ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরে বিকেল সোয়া ৩টায় ৪ আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে কোতোয়ালী থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে কোতোয়ালী থানায় পুলিশ হেফাজতে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।