শীর্ষবিন্দু নিউজ ডেস্ক: নতুন আতঙ্কে ভুগছে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের রোগীরা।পুরনো দ্বিতল ভবনের নিচতলার বারান্দার ছাদে ফাটল ধরেছে। ভেঙ্গে পড়তে পরে যে কোন সময়। এতে চিকিৎসা নিতে এসে বেঘোরে হারাতে হতে পারে প্রাণ।
হাসপাতালে গেলে দেখা যায়, পুরনো ভবনটির ছাদে ফাটল ধরা ছাদে চুন-সুরকি খসে খসে পড়ছে। রড বেরিয়ে তৈরি হয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা । বিপদ ঠেকিয়ে রাখতে ব্যবহার করা হয়েছে বাঁশ। দুর্ঘটনা এড়াতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দশটি বাঁশের খুঁটি দিয়ে সাময়িকভাবে ঠেকিয়ে রেখেছেন ছাদ। তাদের মনেও বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশংকা।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শহরের রায়পাড়ার বাসিন্দা মফিজ উদ্দিন, সদর উপজেলার ফুলবাড়ি গ্রামের সলেমান হোসেন, বাহাদুরপুর গ্রামের নুর ইসলাম- তারাও জানালেন তাদের আতংকের কথা। খুব ভয়ের মধ্যে রয়েছি। ছাদ ভেঙে পড়লে রোগীসহ বহু মানুষের প্রাণহানি হতে পারে।
যশোর রোগী কল্যাণ সমিতির সদস্য শফিকুল ইসলাম পারভেজ বললেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে এই বিল্ডিং সংস্কার হয়নি। যার কারণেই এই ফাটল। কর্তৃপক্ষ আগে ব্যবস্থা নিলে তাহলে এ অবস্থার সৃষ্টি হতো না।
হাসপাতালে দায়িত্বরত নার্স শিরিন সুলতানা জানালেন, আগে কখনো বাঁশের খুঁটি দেওয়া ছিল না। শনিবার থেকে ফাটলের স্থানে খুঁটি দেওয়া হয়েছে। যদি ছাদ ভেঙে পড়ে মরি না বাঁচি বলতে পারছি না। খুবই আতংকের মধ্যে আছি।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. ওয়াহেদুজ্জামান লিটু বললেন, বড় ধরনের ক্ষতি এড়াতে আপাতত বাঁশ দিয়ে ছাদ ঠেকিয়ে রাখা হয়েছে। দরকারি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. একেএম কামরুল ইসলাম বেনু বলেন, ‘বিল্ডিংটির নিচতলায় সার্জারি ও অর্থোপেডিক এবং দ্বিতীয় তলায় মেডিসিন ওয়ার্ড। নিচে ৩০টি বেড। দ্বিতীয় তলায় ৭০টি। রোগীর স্বজন মিলে ওখানে সবসময় প্রায় ১৫০ জন লোকের অবস্থান। ১৯৫৬ সালে বিল্ডিংটি তৈরি। যশোরের বিশিষ্ট সমাজসেবক আহাদ সাহেব পুরনো বিল্ডিংয়ের ওপর দ্বিতীয় তলা করে দেন।
তিনি বলেন, গত ঈদুল ফিতরের দুইদিন আগে হাসপাতালের নিচ তলার ছাদে ফাটল দেখা দিলে আমি ইঞ্জিনিয়ারকে ফোন করি। ইঞ্জিনিয়ার তখন বেনাপোলে ছিলেন। তিনি বেনাপোল থেকে সরাসরি হাসপাতালে এসে পুরো বিল্ডিং পরিদর্শন করেন। আমি তাকে ঢাকায় জরুরি ভিত্তিতে রিপোর্ট করতে বলি।
দ্বিতীয় তলার গ্রিলের একাংশ ধসে যাওয়ায় অবস্থা বেগতিক দেখে গণপূর্ত বিভাগকে জানিয়েছি। দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য তারা দশটি বাঁশের খুঁটি দিয়ে ঠেক দিয়েছে। পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঢাকায় রিপোর্ট করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।