আজ পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী। ১২ রবিউল আউয়াল, এই দিন সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব, আখেরী নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) আরবের মক্কা নগরীতে জন্ম গ্রহণ করেন। বিশ্বের অন্যন্য মুসলিম দেশগুলোর মত বাংলাদেশেও দিনটি ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হচ্ছে।
বিশ্বনবীর আবির্ভাবেই পৃথিবীর মানুষ জাতি ইহলৌকিক ও পরলৌকিক জগতের মুক্তির সন্ধান পায়। হযরত মুহাম্মদ (সা.) যে সময় জন্মগ্রহণ করেন তখন আরবের লোকেরা ছিলো কুসংস্কারাচ্ছন্ন , বর্বর ও বিভ্রান্ত। সেটা ছিলো আইয়্যামে জাহেলিয়াতের যুগ। আরবের লোকেরা তখন গোত্রে গোত্রে দ্বন্দ-সংঘাত ও হানাহানিতে লিপ্ত থাকতো। কন্যাসন্তান জন্ম নিলে তাকে জ্যান্ত কবর দিতো। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) আরবের সেই বিভ্রান্ত ও কুসংস্কারাচ্ছন্ন লোকদের মূর্তিপূজা বাদ দিয়ে এক আল্লাহর ইবাদত করার আহবান জানান। হেরা পর্বতের গুহায় ধ্যানমগ্ন অবস্থায় ৪০বছর বয়সে তিনি নবুয়ত লাভ করেন। এরপরই তিনি ইসলাম ধর্ম প্রচার শুরু করেন।
এক পর্যায়ে তিনি আল্লাহ তায়ালার নির্দেশে মক্কা থেকে মদীনায় হিজরত করেন। পরবর্তীতে সেখানে থেকেই মহানবী (সা.) ইসলাম প্রচার করেছেন। ইসলাম প্রচার করতে গিয়ে তাঁকে অনেক বাধা-বিপত্তি মোকাবেলা করতে হয়েছে। আবার ৬৩ বছর বয়সে এই ১২ রবিউল আউয়াল তিনি ইহলোক ত্যাগ করেন।
Leave a Reply