শীর্ষবিন্দু নিউজ ডেস্ক: ব্রিটেনে একই পরিবারের সদস্যরা নিজে বিলাশবহুল জীবন যাপন করলেও বিনা বেতনে ঝুঁকিপুর্ণ পরিবেশে কাজ করানোর পাশাপাশি অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাস করতে বাধ্য করা হতো অসহায় হোমলেস ও ডিস্যাবলদের। আর এরইপ্রেক্ষিতে তাদের বিরুদ্ধে প্রতারনা অভিযোগে একই পরিবারের ১১ সদস্যকে দোষী সাব্যস্ত করেছে নটিংহাম ক্রাউন কোর্ট।
আগামি সেপ্টেম্বরে দোষী এই পরিবারের সদস্যেদের সাজার মেয়াদ ঘোষণা করা হবে একই আদালতে। দোষী পরিবার স্থানীয়ভাবে রনি পরিবার হিসেবেই পরিচিত।
জানা যায়, এই পরিবারের সদস্যেরা বিলাশবহুল জীবন যাপন করলেও হোমলেস ও ডিস্যাবলদের অনেক ঝুঁকিপুর্ণ পরিবেশে কাজ করানোর পাশাপাশি অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাস করতে বাধ্য করা হতো। এর মধ্যে অসহায় এক ব্যক্তি এই পরিবারের জন্য প্রায় ২৬ বছর কাজ করেছেন। তার হাত দিয়ে তার করব খুড়িয়ে ভয় দেখানো হয়েছে, কথা মত মিথ্যা কাজের চুক্তি না করলে এই কবরে তাকে মরতে হবে বলে ভয় দেখানো হতো। তাদের নিয়ন্ত্রনে থেকে এক বয়স্ক ব্যক্তি মারা গেছেন। তার আসল পরিবারের সদস্যরা পর্যন্ত খবর পায়নি।
দায়েরকৃত অভিযোগে বলা হয়, অভিযুক্ত পরিবারের সদস্যরা লিঙ্কনশায়ারের ড্রিনসি নুক এবং ওয়াশিংবারার শেল্টার হোম এবং হোটেল থেকে ভুক্তভোগিদের কাজ দেবার কথা বলে নিয়ে যেত। এরপর তাদের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাস এবং জোরপূর্বক কাজ করতে বাধ্য করানোর পাশাপাশি তাদের ব্যাঙ্ক একাউন্টের নিয়ন্ত্রন করে সব টাকা হাতিয়ে নিয়ে নিজেদের বিলাশ বহুল জীবন যাপনে ব্যয় করত অভিযুক্ত পরিবার।
এছাড়া স্থানীয় বৃদ্ধ পরিবার, যাদের নামে ঘরবাড়ি আছে তাদেরকেও টার্গেট করত রনি গ্যাং। বৃদ্ধ বা বৃদ্ধার সম্পত্তি জোরপূর্বক নিজের নামে লিখিয়ে নিয়ে ভোগ করত তারা। এভাবে ৪টি বয়স্ক পরিবারের ৩টি সম্পত্তি বিক্রি করে প্রায় আড়াই শ হাজার পাউন্ড আয় করেছে অভিযুক্ত পরিবার।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে লিঙ্কনশায়ার থেকে স্থানীয় পুলিশ এবং ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি এক বিশেষ অভিযানে এই পরিবারের কবল থেকে ১৮ বছর থেকে ৬৪ বছর বয়সের ১৮ জন ভুক্তভোগিকে উদ্ধার করে। এদের মধ্যে কেউ কেউ হোমলেস, ল্যার্নিং ডিস্যাবিলিটি এবং মারাত্মকভাবে ড্রাগে আসক্ত রয়েছেন।