শীর্ষবিন্দু আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক: আজব এক দম্পতি তারা। স্বামী ডেভিড বারকি (৪৩)। স্ত্রী ক্লেয়ার (৪৯)। বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ এ দম্পতির মধ্যে নেই কোনো দ্বন্দ্ব বরং তারা সুখী দম্পতি। কিন্তু গত ১৬ বছর ধরে তারা আলাদা বাসায় বসবাস করছেন। এ সময়ের মধ্যে তারা মাত্র এ রাতের জন্য এক বিছানায় ঘুমিয়েছেন।
এর কারণ, তারা এক বাড়িতে থাকতে চান না। কেউ কারো হুকুমের গোলাম হতে চান না। তাই আলাদা বাড়িতে তাদের বসবাস। ওয়েস্ট ইয়র্কশায়ারের ব্রাডফোর্ডে তাদের বসবাস। আলাদা বসবাস করলেও তাদের মধ্যকার বন্ধন ভেঙে যায় নি বা কারো ওপর অন্যের সন্দেহ কাজ করে নি।
উল্টো তাদের বন্ধন আগের চেয়ে আরো শক্তিশালী হয়েছে। চার মাইল দূরত্বে তাদের বসবাস। গত ১৬ বছর এভাবেই চলছে। তারা কত রাত একসঙ্গে এক ছাদের নিচে কাটিয়েছেন গুনে গুনে বলে দিতে পারেন। এমন রাতের সংখ্যা এক।
এ সম্পর্কে ক্লেয়ার বলেন, আমরা আমাদের বিয়ের রাত ছিল সেটা। সেই রাতে আমরা পুরো রাত একসঙ্গে কাটিয়েছি। রাতটা ছিল অত্যন্ত আনন্দের। ওই বছরে ওই রাতটি ছিল সবচেয়ে বেশি গরম। সেদিন আমরা এক বিছানায় ছিলাম। গল্প করেছি সিনেমা নিয়ে। এখনও আমরা দু’জনেই স্বাধীন।
এতে আমাদের সম্পর্কটা আরো দৃঢ় হয়েছে। এর অর্থ হলো ডেভিডকে আমি অনেক বেশি মিস করি। তাকিয়ে থাকি কখন তাকে আবার দেখতে পাবো। আমার বাড়ির সামনে দিয়ে যখন সে হেঁটে যায় তখন আমি সেই যৌবনের প্রজাপতি যেন দেখতে পাই। ডেভিডের সঙ্গে যখন ক্লেয়ারের সাক্ষাত হয় তখন তিনি ওয়েস্ট ইয়র্কশায়ারে ফায়ার সার্ভিসে প্রশাসনে চাকরি করেন। সে সময় ডেভিড একজন অগ্নিনির্বাপক হওয়ার প্রশিক্ষণ নিতে যান সেখানে।
ওই সময়ের তাদের জানাশোনা। আস্তে আস্তে সেই সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ থেকে ঘনিষ্ঠতর হতে থাকে। ক্লেয়ার বলেন, দিনের বেশি ভাগ সময় ডেভিডকে শিফটে কাজ করতে হতো। তখন আমরা প্রচুর সময় এক সঙ্গে থেকেছি। মাঝে মাঝে বসে গল্প করেছি। ছবি দেখেছি। তখন আমার আগের বিবাহিত সম্পর্ক থেকে একটি ছেলে রয়েছে। সে স্কুলে পড়ে। এ জন্য আমরা দুপুরের খাবার বা কফি পান করেছি এক সঙ্গে।
ডেভিড বলেন, দম্পতিদের একই সঙ্গে থাকতে হবে এমন চাপ ছিল না। অন্যরা কাজে গিয়ে স্ত্রীর জন্য যে বেদনা প্রকাশ করে আমার কাছে কখনো তা মনে হয় নি। তাই আমি মন দিয়ে কাজ করতে পারি।
উল্লেখ্য, এর আগে ক্লেয়ারের দু’বার বিয়ে হয়েছিল। তারপরও তাদের বিয়ে হওয়ার পর দু’জন স্বাধীন। ক্লেয়ার তার স্বামী ডেভিডকে অনুমতি দিয়েছেন তার সাবেক স্ত্রীকে (১৭) সঙ্গ দেয়ার, যাতে তিনি কখনো নিজেকে একা মনে না করেন।