মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:০০

উচ্চ শিক্ষা শেষে যুক্তরাজ্যে থেকে যান অনেক বাংলাদেশি

উচ্চ শিক্ষা শেষে যুক্তরাজ্যে থেকে যান অনেক বাংলাদেশি

অদিতি খান্না: যুক্তরাজ্যে উচ্চ শিক্ষার জন্য আসা অনেক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী পড়াশোনা শেষে দেশটিতে থেকে যান। বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যের জাতীয় পরিসংখ্যান অফিসের (ওএনএস) প্রকাশিত তথ্যে এই বিষয়টি উঠে এসেছে।

ওএনএস’র তথ্য অনুসারে, ২০১৬ সালের এপ্রিল থেকে ২০১৭ সালের এপ্রিল পর্যন্ত ১ হাজার ৫০ জন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি করে যুক্তরাজ্যে থাকতে চেয়ে আবেদন করেছেন। একই সময়ে ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে যুক্তরাজ্য ছেড়েছেন ৯৪৮ জন বাংলাদেশি।

ওএনএস প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, চীন, তাইওয়ান, ভারত ও উত্তর আমেরিকার (যুক্তরাষ্ট্র) শিক্ষার্থীরা বেশিরভাগই তাদের শিক্ষা ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই নিজ দেশে ফিরে যান। তবে বাংলাদেশ, রাশিয়া, পাকিস্তান ও সৌদি আরবের শিক্ষার্থীরা তাদের ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি করে যুক্তরাজ্যে থেকে যান।

২০১৫ সালের এপ্রিলে এক্সিট-চেক পদ্ধতি প্রবর্তনের মাধ্যমে যে ফল সংগৃহীত হয়েছে ওএনএস প্রকাশিত সর্বশেষ পরিসংখ্যানে তা উঠে এসেছে। যুক্তরাজ্যে আসা মানুষেরা নির্ধারিত সময়ে দেশত্যাগ করেন কিনা তা জানার জন্য এই পদ্ধতি চালু করা হয়। সর্বশেষ তথ্যে দেখা গেছে, অতীতের তুলনায় শিক্ষার্থীদের যুক্তরাজ্যে থেকে যাওয়া কমেছে।

এছাড়া এই তথ্যের ওপর ভিত্তি করে যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমার রুড দেশটির অর্থনীতিতে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের প্রভাব নিরুপণের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।

রুড যুক্তরাজ্যের অভিবাসন উপদেষ্টা কমিটিকে (এমএসি) নির্দেশ দিয়েছেন, ইইউ ও ইইউ বহির্ভূত শিক্ষার্থীরা দেশটির শ্রম বাজার ও অর্থনীতিতে কেমন প্রভাব রাখছে তা পর্যালোচনা করতে।

এক বিবৃতিতে রুড বলেন, সত্যিকার আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের যুক্তরাজ্যে আসার সংখ্যার ক্ষেত্রে কোনও সীমাবদ্ধতা নেই। উচ্চ শিক্ষার বৈশ্বিক গন্তব্যের ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্য দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। এই জন্য আমরা গর্বিত।

আমাদের উচ্চ শিক্ষা খাতে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের শিক্ষার্থীরা গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের অন্যতম রফতানিও এই খাত থেকে আসে। এর ফলেই দেশের অর্থনীতিতে তাদের মূল্য ও প্রভাব নিরূপণে স্বতন্ত্র প্রমাণ আমরা চাই।

এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয় ও দেশটিতে বিদেশি শিক্ষার্থীদের নিয়ে কাজ করা সংস্থাগুলো। ইউনিভার্সিটিজ ইউকে’র প্রধান নির্বাহী অ্যালিস্টেয়ার জার্ভিস বলেন, যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি ও স্থানীয় সমাজে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে তা প্রমাণসহ হাজির করার একটি সুযোগ এনে দেবে উদ্যোগটি।

আশা করা যাচ্ছে এমএসি’র পর্যালোচনা প্রতিবেদন আগামী বছর সেপ্টেম্বর মাসে প্রকাশিত হবে। এতে করে বার্ষিক অভিবাসন তথ্য থেকে বিদেশি শিক্ষার্থীদের বাদ দিতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র ওপর চাপ সৃষ্টি হবে।

এমএসি-কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি ও ব্যয় স্থানীয় ও জাতীয় অর্থনীতিতে কেমন প্রভাব ফেলে তা পরীক্ষা করে দেখতে। একইসঙ্গে দেশের শিক্ষার্থীদের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও শিক্ষার মানে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভূমিকাও পরীক্ষা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের পছন্দের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে যুক্তরাজ্য। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের গন্তব্যের ক্ষেত্রে বিশ্বের শীর্ষ ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে যুক্তরাজ্যের চারটি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।




Comments are closed.



পুরানো সংবাদ সংগ্রহ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  
All rights reserved © shirshobindu.com 2012-2024