শীর্ষবিন্দু নিউজ ডেস্ক: ২০১৬ সালের জুলাই থেকে ২০১৭ সালের জুনের ভেতরে প্রায় ২৮ হাজার ৫শ ২জন ইইউ নাগরিক বৃটিশ সিটিজেনশীপের জন্যে আবেদন করেছেন। ২০১৫ থেকে ২০১৬ সালের একই সময়ের ভেতরে এই সংখ্যা ছিল মাত্র ১৫ হাজার ৮শ ৭১।
ব্রেক্সিট ভোটের পর থেকে গত ১২ মাসে প্রায় ৩০ হাজার ইউরোপিয়ান নাগরিক বৃটিশ সিটিজেনশীপের জন্যে আবেদন করেছেন। এই সংখ্যা এর আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৮০ শতাংশ বেশি। তবে সার্বিকভাবে বৃটিশ সিটিজেনশীপ আবেদনের সংখ্যা ৮ শতাংশ কমেছে।
হোম অফিস জানিয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইইউ নাগরিকরা ইউকের সিটিজেনশীপের জন্যে আবেদন করছেন বেশি। ব্রেক্সিটের পর থেকে ইমিগ্রেশন আইনে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে। যদিও রেফারেন্ডামে ইমিগ্রেশন একটি বড় ইস্যু ছিল। এমনকি ব্রাসেলসে ব্রেক্সিট আলোচনায়ও ইমিগ্রেশনকে প্রধান ইস্যু হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এর ফলে ইউকেতে অবস্থানরত প্রায় ৩ মিলিয়ন ইইউ সিটিজেনের মধে এক ধরনের অস্থিরতা কাজ করছে। ইইউ নাগরিকের কাছ থেকে ইউকের সিটিজেনশীপ আবেদনের সংখ্যা বাড়লেও ইউকেতে অবস্থানরত নন-ইইউ অর্থাৎ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেট মাইগ্রেশনের সংখ্যা গত ১২ মাসে ১৮ শতাংশ কমেছে। ১৩১,২৬৬ থেকে নেমে ১০৭, ৪১০ এ চলে এসেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, ঐতিহাসিকভাবে নন-ইউরোপিয়ান মাইগ্র্যান্টরাই ইইউ মাইগ্র্যান্টদের চাইতে বেশি ব্রিটিশ সিটিজেনশীপের জন্যে আবেদন করে। কিন্তু ব্রেক্সিটের পর ইউকেতে ইইউ নাগরিকদের স্বাধীন চলাফেলার সুযোগ বন্ধ হয়ে যাবে। এ কারণে অনেক ইইউ সিটিজেন নাগরিক সিকিউর পলিসির জন্যে সিটেজেনশীপের জন্যে আবেদন করেছেন বলে মনে করছেন তিনি।
আবেদনকারীদের মধ্যে ২০০৪ সালে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে যোগ দেওয়া ইস্টার্ন ইউরোপিয়ান ৮টি দেশের নাগরিকের সংখ্যা ৪৫ শতাংশ বেড়েছে। এর মধ্যে পোলান্ডের আবেদনকারীর সংখ্যা প্রায় ৬ হাজার ১শ ৭৯ জন। এই সংখ্যা আগের বছরের চাইতে ৪৩ দশমিক ৯ শতাংশ বেশি।
এছাড়া ইতালির ২ হাজার ৯শ ৫০ জন, রোমানিয়ার ২ হাজার ৭শ ১৩, ফ্রান্সের ২ হাজার ৫শ ৮, জার্মানির ২শ ৩শ ৩৮ এবং বুলগেরিয়ারর ১হাজার ৬শ ৯৭ জন নাগরিক বৃটিশ সিটিজেনশীপের জন্যে আবেদন করেছেন।