শীর্ষবিন্দু নিউজ ডেস্ক: মহিলার নাম আরিনা ক্লেনাল। ইউকের ডারহাম কাউন্টিতে স্বামী, দু’ ছেলে এবং তাদের সন্তানদের সঙ্গে বসবাস করতেন তিনি। কিন্তু স্বামী, সন্তান এবং নাতি-নাতনির সঙ্গে প্রায় ৩০ বছর কাটানোর পর ওভার স্টেয়ার হিসেবে ৫৩ বছর বয়সী সিঙ্গাপুরিয়ানে ঐ মহিলাকে স্বদেশে ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছিল হোম অফিস।
দীর্ঘ আইনী লড়াই শেষে হোম অফিস তাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তনে বাধ্য হয় গত ফেব্রুয়ারীতে। তাকে নতুন করে ইউকেতে প্রবেশের ভিসা ইস্যু করলেও পুরনো সিদ্ধান্ত বাতিল করেনি হোম অফিস। তাকে ফেরত পাঠানোর পেছনে হোম অফিসের দাবী ছিল, ভিজিটর হিসেবে ইউকেতে প্রবেশের পর তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যায়।
এরপরেও তিনি ভিসা বিহীন ইউকেতে বসবাস করতে থাকেন। এর ভেতরে বেশ কয়েকবার ভিসা বা লিভ টু রিমেইনের জন্যে আবেদন করলেও তাতে ইমিগ্রেশন আইনের শর্ত পুরনে ব্যর্থ হওয়ায় তার ভিসা আবেদন সফল হয়নি। তাকে ফিরিয়ে আনার জন্যে তার পরিবারের পক্ষ থেকে গোফান্ডমি নামে একটি পেইজ খুলে প্রায় ৫৫ হাজার পাউন্ড রেইজ করা হয়। এই অর্থ দিয়েই হোম অফিসের সঙ্গে আইনি লড়াই করে ইউকেতে আসার নতুন ভিসা অর্জন করেন ৫৩ বছর বয়সী ওই মহিলা।
ডিটেনশন সেন্টারে আটকে রাখার সময় তার সঙ্গে টেরোরিস্টদের মতো আচরন করা হয় বলে অভিযোগ করেছিলেন ওই মহিলা। তিনি ভিসা বিহীন ওভার স্টেয়ার ছিলেন। হোম অফিস তাকে নতুন করে ভিসা দিলেও তাদের পুরনো সিদ্ধান্ত বাতিল করেনি।
একজন ব্রিটিশ নাগরিককে বিয়ে করে ইউকেতে থেকে যাওয়ার ফলে সবার সামনে তাকে লজ্জা পেতে হল বলেও গত ফেব্রুয়ারীতে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন তিনি।
উল্লেখ্য, ১৯৮৮ সালে ইউকেতে আসার পর ব্রিটিশ স্বামীর কেয়ারারের দায়িত্বেও ছিলেন সিঙ্গাপুরি ওই মহিলা।। দীর্ঘদিন বসবাসের পর মাঝে একবার দেশেও ফিরে যান। নিজের বাবা-মাকে দেখাশুনা করে তারা মারা যাবার পর আবার বিলেতে ফিরেন।
কিন্ত গত ফেব্রুয়ারীতে হঠাৎ তাকে আটক করে ডিটেনশন সেন্টারে পাঠিয়ে দেয় হোম অফিস। এরপর এক কাপড়ে তাকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়। তখন তার পকেটে ছিল মাত্র ১২ পাউন্ড। এমন কি ডিটেনশন সেন্টারে কারো সঙ্গে দেখা করতেও দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি।