শীর্ষবিন্দু আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক: ধর্মগুরু নামে পরিচিত, ভক্তদের কাছে তিনি ‘ভগবান’। অথচ সেই গুরু রাম রহিমের বিরুদ্ধে যে যে অভিযোগ বিভিন্ন সময় উঠেছে, তাতে তাকে ঘিরে রহস্য ক্রমশ ঘনীভূত হয়েছে। ধর্ষণ মামলায় দোষী প্রমাণিত হওয়ার পরে সেই পুরনো অভিযোগগুলিই মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।
স্বঘোষিত এই ‘গডম্যানে’র বিরুদ্ধে যদি প্রধান অভিযোগ হয় ধর্ষণ, তাহলে তার বিরুদ্ধে ওঠা অন্যতম অভিযোগ হল প্রায় ৪০০ সাধুর জোর করে ‘নিবীর্যকরণ’। রাম রহিমের বিরুদ্ধে অজ্ঞাতপরিচয় এক মহিলা প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ করেছিলেন।
যদিও, ডেরা সচ্চা সওদার এক সাধু কিন্তু আদালতে হলফনামা দিয়ে রাম রহিমের বিরুদ্ধে জোর করে সাধুদের নিবীর্যকরণের অভিযোগ করেছিলেন। তার সঙ্গেও একই ঘটনা ঘটেছিল বলে অভিযোগ করেন ওই সাধু।
হরিয়ানার ফতেহবাদের বাসিন্দা হংসরাজ চৌহান ২০১২ সালে হলফনামা আকারে পাঞ্জাব এবং হরিয়ানা হাইকোর্টে এই অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তার অভিযোগ ছিল, বাবা রাম রহিমের নির্দেশেই ডেরা সচ্চার হাসপাতালের চিকিৎসকরা সাধুদের নিবীর্যকরণ করতেন। যে সাধুদের সঙ্গে এমন করা হয়েছিল, সে রকম ১৬৬জন সাধুদের নামের তালিকাও আদালতে জমা দিয়েছিলেন ওই অভিযোগকারী।
এমনকি, রাম রহিমের কীর্তি ফাঁস করেছিলেন বলে রামচন্দ্র ছত্রপতি নামে সাংবাদিক খুনে অভিযুক্ত নির্মল এবং কুলদীপ নামে দুই সাধুও নপুংশক ছিলেন বলে হলফনামায় অভিযোগ করা হয়েছিল। জেলবন্দি ওই দুই সাধু স্বীকারও করেছিলেন যে তারা নপুংশক। কিন্ত নিজেদের ইচ্ছেতেই নিবীর্যকরণ করেছেন বলে দাবি করেন তারা। এই সংক্রান্ত মামলাটিও আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।