রাজনীতি ডেস্ক: বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান তৎকালীন সেনা সমর্থিত ১/১১’র সরকারের নির্যাতন ও ষড়যন্ত্রের শিকার বলে মন্তব্য করেছেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইউট্যাব) ৬২৫ জন শিক্ষক।
রোববার সংগঠনের এক বিবৃতিতে শিক্ষকেরা বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীতার ঘোষক ও বহুদলীয় রাজনীতির প্রবক্তা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের বড় ছেলে তারেক রহমান। তাকে ওয়ান ইলেভেনের সেনা সমর্থিত সরকার বিনা কারণে গ্রেফতারের পর মিথ্যা মামলায় অবর্ণনীয় নির্যাতন করেছিল। বর্তমানে উন্নত চিকিৎসার জন্য তিনি যুক্তরাজ্যের লন্ডনে অবস্থান করছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, ১/১১-এর মতো বর্তমানেও তারেক রহমান ষড়যন্ত্রের শিকার। ষড়যন্ত্র এখনো অব্যাহত আছে। ক্ষমতাসীন সরকার তারেক রহমানের বিরুদ্ধে নানাভাবে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দিয়েই চলেছে। কিন্তু জিয়া ও জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে যতই ষড়যন্ত্রই হোক না কেনো এই দেশের ষোল কোটি মানুষ তা প্রতিহত করবে।
ইউট্যাব শিক্ষকবৃন্দ বলেন, দেশের যে অবস্থা, তাতে শুধু তারেক রহমানই নন, খালেদা জিয়া ও দলের সিনিয়র নেতারাসহ মাঠ পর্যায়ের নেতারা পর্যন্ত বিভিন্ন মামলায় আসামি। বিএনপির বিরুদ্ধে অনেক ষড়যন্ত্র চলছে। খালেদা জিয়াকে বারবার মামলায় হাজিরা দেওয়ানো হচ্ছে। অথচ সরকারের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে থাকা হাজার হাজার মামলা প্রত্যাহার করে নিয়েছে তারা। কিন্তু বিএনপির নেতাদের বিরুদ্ধে আরো মামলা হয়েছে। ক্ষমতায় টিকে থাকতে সরকার ফ্যাসিবাদী আচরণ শুরু করেছে। একটি গণতান্ত্রিক দেশে এই অবস্থা থাকতে পারে না। এখানে এখন গণতান্ত্রিক স্পেস নেই। বিএনপির প্রতিষ্ঠাবর্ষিকীতে র্যালি পর্যন্ত করতে দেয়া হয়নি।
ইউট্যাব শিক্ষক নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে সরকারকে তারেক রহমান তথা জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বন্ধ করে একটি নিরপেক্ষ সহায়ক সরকারের অধীনে একাদশ সংসদ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরির আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী ইউট্যাব নেতৃবৃন্দের মধ্যে অন্যতম হলেন সহসভাপতি অধ্যাপক ড. আশরাফুল ইসলাম চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, ড. ফরিদ আহমেদ, অধ্যাপক ড. আবদুর রশিদ, অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম মজুমদার, অধ্যাপক সৈয়দ আবুল কালাম আযাদ, অধ্যাপক লুৎফর রহমান, অধ্যাপক ড. আল মোজাদ্দেদী আলফেছানী, অধ্যাপক এম ফরিদ আহমেদ, ড. গোলাম রব্বানী, ড. মাহফুজুল হক, ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, ড. সিদ্দিক আহমদ চৌধুরী (চবি), ড. এম এ বারি মিয়া, অধ্যাপক খায়রুল (শাবিপ্রবি), ড. শামসুল আলম সেলিম (জাবি), ড. সাব্বির মোস্তফা খান (বুয়েট), অধ্যাপক তোজাম্মেল (ইবি)প্রমুখ।