শীর্ষবিন্দু নিউজ ডেস্ক: যদিও টাওয়ার হ্যামলেটস বারার ওভার ক্রাউডিং নতুন কিছু নয়। তবে এবার বারার এক বাড়ি মালিককে খুজে পেয়েছে কাউন্সিল যিনি তিন বেড-রুমের একটি ফ্লাটে ১৬ জনকে ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে বসবাসে বাধ্য করেন এবং যথাযথ অগ্নি নিরাপত্তা নিশ্চিত না করেই অবৈধভাবে বাড়ি বাড়া দিয়ে আসছিলেন।
জানা যায়, পূর্ব লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটসের বো এলাকার এই ফ্লাটে অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশের কারণে ফ্লাটের মালিককে অর্থদন্ড ও মামলার খরচ বাবদ ৬ হাজার পাউন্ডের বেশি প্রদানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলর এনভায়রনমেন্টাল অফিসারদের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত এই অর্থ দন্ড প্রদান করেন।
মাত্রাতিরিক্ত গাদাগাদি পরিবেশের কারণে ফ্ল্যাটটিতে অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকাটা অত্যন্ত জরুরী হলেও কোন ব্যবস্থাই ছিল না। বেডরুম ও কিচেনে কোন ফায়ার ডোর কিংবা আগুন সনাক্তকরণের কোনরূপ ব্যবস্থাও রাখা হয়নি।
কাউন্সিলের হেলথ এবং হাউজিং টিমের এনভায়রনমেন্টাল হেলথ অফিসাররা বো’র শেফিল্ড স্কোয়ারে অবস্থিত উক্ত ফ্ল্যাটে গিয়ে ১৬ জন ভাড়াটেকে দেখতে পান, যাদের মধ্যে ৭ জনই শিশু।
এদের মধ্যে রয়েছে ৪ সদস্য বিশিষ্ট তিনটি পরিবার, ৩ সদস্যের একটি পরিবার ও একজন পুরুষ। একেকটি পরিবার একেকটি রুমে অত্যন্ত গাদাগাদি অবস্থায় বসবাস করছিলো। তারা সবাই একটি কিচেন, বাথরুম ও টয়লেট ব্যবহার করতো।
আদালতে শুনানিকালে উল্লেখ করা হয় যে, ফ্ল্যাটটির মালিক সর্বোচ্চচ পর্যায়ে রেন্টাল ইনকাম নিশ্চিত করতে ঘরটিকে সংস্কার করেন, যা ভাড়াটেদের জীবনের ঝুঁকি বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। যদি অগ্নিকান্ডের কোন ঘটনা ঘটতো, তাহলে ভাড়াটে ও তাদের শিশু সন্তানদের জীবন ঝুঁকিতে পড়তো।
অর্থ দন্ড ঘোষনাকালে আদালত এটা পরিস্কার করেন যে, জরিমানার অর্থ নির্ধারনের ক্ষেত্রে ফ্ল্যাটটির মালিক ইলফোর্ড এর রবিনিয়া ক্লোজের বাসিন্দা নজরুল ইসলাম ভূঁইয়ার দোষ স্বীকার করে নেয়ার বিষয়টিকে বিবেচনায় নেয়া হয়েছে।
এক সময়কার কাউন্সিল মালিকানাধীন ফ্লাটের বর্তমান লীজ মালিক নজরুল ইসলাম ভুইঁয়া তাঁর বিরুদ্ধে আনা ৫টি অভিযোগের প্রেক্ষিতে আদালতে দোষ স্বীকার করে নিলে বো ম্যাজেস্ট্রেট কোর্ট গত ১৭ আগষ্ট তাকে ৪ হাজার ৭৫০ পাউন্ড জরিমানা করেন। একই সাথে মামলার খরচ বাবদ কাউন্সিলকে ১,৪২৯.৬৮ পাউন্ড এবং ভিক্টিম সারচার্জ বাবদ আরো ১০০ পাউন্ড পরিশোধের নির্দেশ দেন।