শীর্ষবিন্দু আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক: রোহিঙ্গা বিদ্রোহী বা আরাকান রোহিঙ্গা সলভেশন আর্মি’র একতরফা অস্ত্রবিরতি ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করেছে মিয়ানমার সরকার। পরিস্কার করে সরকার জানিয়ে দিয়েছে তারা টেরোরিস্টদের সঙ্গে কোনো সমঝোতায় যাবে না।
আরাকান রোহিঙ্গা সলভেশন আর্মি টুইটারে ঘোষণা দিয়ে বলে, তারা সেনাবাহিনীর অপরাধমুলক অভিযানের প্রেক্ষিতে সাময়িত অস্ত্রবিরতি ঘোষণা করছে। এছাড়া রাখাইনে মানবিক সঙ্কটে থাকা লোকজনের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দেয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয় সব মানবিক দাতাদের কাছে। কিন্তু সরকারের সিনিয়র একজন মুখপাত্র জাও হতাই তাদের সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন।
তিনি লিখেছেন, সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সমঝোতার কোনো নীতি নেই আমাদের। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। এতে বলা হয়, রাখাইনে সহিংসতা শুরুর পর থেকে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা মুসলিমের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় তিন লাখ। জাতিসংঘ বলেছে, সারা গায়ে কাদা মাখানো, নিঃস্ব রোহিঙ্গা শরণার্থীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দুই লাখ ৯৪ হাজার। এখনও হাজার হাজার শরণার্থী বাংলাদেশে আশ্রয় খোঁজার জন্য অপেক্ষায় আছেন।
কারণ, রাখাইনে তাদের আবাসন পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। খাদ্য ও পানীয় নেই। এ অবস্থায় পালিয়ে যাওয়ার মতো বাংলাদেশ ছাড়া তাদের কাছে আর কোনো দেশ নেই, যেখানে সহজে যাওয়া যায়। শুধু তা-ই নয়, রাখাইন বৌদ্ধ ও বেশ কিছু হিন্দুও পালাতে বাধ্য হয়েছেন। তাদের সংখ্যা ২৭ হাজারের মতো।
এসব শরণার্থীর জন্য ৭ কোটি ৭০ লাখ ডলার জরুরি সহায়তা আহ্বান করেছে জাতিসংঘ। এমনিতেই আগের সব সহিংসতা থেকে প্রায় ৪ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ। তার সঙ্গে নতুন শরণার্থী যোগ হয়ে এক ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।