শীর্ষবিন্দু নিউজ ডেস্ক: পাইপলাইনে জ্বালানী তেল পাঠানোর চুক্তি করতে খুব দ্রুতই বাংলাদেশে আসছেন ভারতের তেলমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। ভারত থেকে বিদ্যুতের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এক প্রস্তাবে এদফায় ভারত থেকে জ্বালানি তেল আমদানির প্রক্রিয়া চলছে।
গত মাসে দুই দেশের সরকার এই প্রকল্পের অনুমোদন দেবার পর ইতমধ্যে এই চুক্তির সম্ভাব্যতা ও নানা দিক যাচাই শেষে এ ব্যাপারে দুই দেশের মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই চুক্তির নামকরণ হবে ‘ইন্দো-বাংলা ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন’।
ভারত পেট্রোলিয়াম, অয়েল ইন্ডিয়া এবং আসাম সরকারের যৌথ উদ্যোগে নুমালিগড় রিফাইনারি থেকে এই তেল সরবরাহ করা হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সুত্র ।
সুত্রমতে, শুরুতে ভারত বছরে ১০ লাখ টন ডিজেল রপ্তানির প্রস্তাব করে। কিন্তু পরে তারা ২০ লাখ থেকে ৪০ লাখ টন পর্যন্ত বাড়ায়। তারা আরও বলে, চাহিদার ভিত্তিতে এই পরিমাণ আরও বাড়ানো হতে পারে।১৩০ কিলোমিটারের এই পাইপলাইন বসানো হবে নুমালিগড় থেকে বাংলাদেশের দিনাজপুরের পার্বতীপুর পর্যন্ত। এর মধ্যে মাত্র ৫ কিলোমিটার লাইন থাকবে ভারত অধ্যুষিত অঞ্চলে। আর বাকি ১২৫ কিলোমিটার থাকবে বাংলাদেশে।
আন্তর্জাতিক দর অনুযায়ী এই তেলের দর ঠিক হবে। ক্রয়-বিক্রয় চুক্তির খসড়ায় পাইপলাইনের মাধ্যমে এ তেল আমদানির প্রিমিয়াম বা পরিবহন খরচ প্রতি ব্যারেলে (প্রায় ১৫৯ লিটার) সাড়ে ৫ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে বাংলাদেশ বর্তমানে প্রতি ব্যারেল তেল আমদানিতে প্রিমিয়াম বাবদ ২ দশমিক ২ ডলার ব্যয় করে। তাই বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
বর্তমানে বিদেশ থেকে তেল চট্টগ্রামে আসে। সেটি উত্তরবঙ্গে পাঠাতে প্রতি ব্যারেলে ৪ দশমিক ৫ ডলার খরচ হয়। সব মিলিয়ে প্রিমিয়াম দাঁড়ায় ৬ দশমিক ৭ ডলার। সে হিসেবে ভারত থেকে আনা তেলের খরচ কম পড়বে। এতে করে ভারত থেকে তেল আমদানি করলে বাংলাদেশের ব্যয় কম হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বহির্বিশ্বের বিভিন্ন কোম্পানি থেকে বাংলাদেশ গড়ে ৩০ লাখ টনের বেশি তেল আমদানি করে।